ইংল্যান্ডে প্রাথমিকে পড়া রেকর্ড সংখ্যক শিশু ব্যাপকভাবে স্থূলতা নিয়ে স্কুল ছাড়ছে। দেশটির জনস্বাস্থ্য বিভাগের প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে শিশুদের স্থূলতার এই চিত্র দেখা গেছে।
২০১৬-১৭ সালের প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ১০ থেকে ১১ বছর বয়সী প্রতি ২৫ জনে একজন বা ৪.০৭ শতাংশ শিশু ব্যাপকভাবে স্থূল(মোটা)। অর্থাৎ ২২ হাজারের বেশি শিশুর মধ্যে এই অবস্থা বিরাজ করছে।
বিবিসি জানায়, সম্প্রতি বছরগুলোতে শিশুদের স্থূলতা স্থিতিশীল অবস্থায় ছিল। কিন্তু নতুন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত দশকে এই ধারা ক্রমবর্ধমান ছিল।
ন্যাশনাল চাইল্ড মেজারমেন্ট প্রোগ্রাম(এনসিএমপি) এর ২০১৬-১৭ সালের উপাত্তে প্রথমবারের মতো ব্যাপক স্থূলতা প্রবণতা উঠে এসেছে।
এতে দেখা গেছে, স্বচ্ছল এলাকার তুলনায় অধিক সুবিধা বঞ্চিত এলাকার শিশুদের মধ্যে অধিক ওজন ও স্থূলতার হার বেশি। স্কুলে যাওয়া ও স্কুল ত্যাগের সময়ের মধ্যে এই ব্যবধান উল্লেখযোগ্য।
২০০৬-৮ সালে যখন এই হার নথিভূক্ত করা হয় তখন এই সংখ্যা ছিল প্রতি ৩২ জনে একজন। তবে কীভাবে স্কুল শুরু করা শিশুদের স্থূলতা ও অধিক ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় উপাত্তে তাও দেখানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান পুষ্টিবিজ্ঞানী ড. আলিসন টেডস্টোন বলেন, এই প্রবণতা অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং দশক ধরে চলে আসা এই প্রবণতা একরাতে উল্টানো সম্ভব না।
তিনি বলেন, এই হুমকি থেকে আমাদের শিশুদের রক্ষা করতে সাহসী পদক্ষেপ নিতে হবে।
অবশ্য স্বাস্থ্য বিভাগ ২০৩০ সালের মধ্যে শিশুদের স্থূলতা অর্ধেকে নামিয়ে আনতে সম্প্রতি শিশু স্থূলতা পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ ঘোষণা করেছে।
এর অংশ হিসেবে সুপারমার্কেটগুলোর খাবার দোকানে মিষ্টি এবং উচ্চ-চর্বিযুক্ত খাবার নিষিদ্ধ করা হবে। এছাড়া টেলিভিশনে জাঙ্ক ফুডের বিজ্ঞাপনের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
এছাড়া সংশ্লিষ্ট অনেকেই বিষয়টিকে উদ্বেগজনক উল্লেখ করে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।