সিকান্দার রাজার ডেলিভারি স্কয়ারলেগে ঘুরিয়েই রানের জন্য ছুটলেন মুশফিক রহিম। ২০০ রানের ‘ম্যাজিক ফিগার’ স্পর্শ করে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলেন আকাশে। পরে ব্যাট রেখে, গ্লাভস খুলে দুই হাতের আঙুল জোড়া লাগিয়ে বানালেন ভালবাসার চিহ্ন। সেটি আবার ছোঁয়ালেন ঠোঁটেও।
দিনের খেলা শেষে রোমান্টিক উদযাপনের রহস্য খোলাসা করেছেন মুশফিক। জানান, এমন উদযাপনে ছিল স্ত্রী জান্নাতুল কিফায়াত মন্ডির প্রতি ভালবাসা ও কৃতজ্ঞতার প্রকাশ।
‘ডাবল সেঞ্চুরি আমার স্ত্রীকে উৎসর্গ করতে চাই। কারণ এটা অনেক স্পেশাল ছিল। ও আমাকে অনেকভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। আর মিরপুরে আমার প্রথম (সেঞ্চুরি)। তাছাড়া সেই ২০১০ সালে দেশের মাটিতে সেঞ্চুরি করেছিলাম। সব মিলিয়ে আমি মনে করি অনেক বড় একটা মাইলফলক ছিল। চেষ্টা করবো যেন এই ধারাবাহিকতাটা থাকে।’
মুশফিক বিয়ের পিঁড়িতে বসেন ২০১৪ সালে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম সন্তানের বাবা হন তিনি। ছেলের নাম রেখেছেন মোহাম্মদ শাহরোজ রহিম মায়ান। মুশফিক জানান, স্ত্রী’র অনুপ্রেরণা আর সন্তানের মুখ এনে দিয়েছে অনাবিল সুখ। ব্যক্তিজীবনে ভালো থাকার প্রভাব তার খেলাতেও।
‘আজকের ডাবল সেঞ্চুরির জন্য আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল। যদি করতে পারি আমার সহধর্মীনিকে উৎসর্গ করবো। কারণ ওর অবদানটা অনেক বড় ব্যাপার। আপনারা হয়তো জানেন যে, আমি অনেক সময় মন খারাপ করে থাকি, এইটা করে থাকি, ওইটা করে থাকি। কিন্তু বিয়ের পরে এই জিনিসটায় অনেক বড় একটা সাহায্য হয়েছে।’
‘আর বাচ্চা হওয়ার পরে তো এটা অসাধারণ। খেয়াল করলে দেখবেন, আমার মোবাইল ওয়ালপেপারেও ওর(মায়ান) ছবি। মানে, ওর একটু হাসি দেখলেই আমার মন ভালো হয়ে যায়।’