সেলফি তুলে ফেসবুকে দিয়ে পরিচিতজনদের কাছে জনপ্রিয়তা পেতে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে এক ধরনের প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা যায়।কে কত ব্যতিক্রমী সেলফি দিতে পারে চলে সেই প্রতিযোগিতাও।
এজন্য তারা অনেক ঝুঁকি নিতেও দ্বিধা করে না।চলন্ত ট্রেনের পাশে, চলন্ত মোটরসাইকেলের ওপর থেকে, উচু দালানের ছাদের কিনারা থেকে ঝুঁকি নিয়ে সেলফি তুলে অনেকে হিরো হতে চায়।এতে অনেক সময় ঘটে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। কেউ কেই আবার চিড়িয়াখানায় হিংস্র প্রাণীর কাছে গিয়ে সেলফি তুলে সাহসী হতে চায়।এ কাজটি করতে কারো কারো প্রাণহাণি এবং অঙ্গহানির খবরও পাওয়া যায়।
এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক গিতিয়ারা নাসরিন।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন: বরগুনার সোনাকাটা ইকোপার্কে জলাশয়ের বেড়া ডিঙ্গিয়ে কুমীরের সাথে ফটো তুলতে গেলে আসাদুজ্জামান রনি (২৯) নামের এক দর্শনার্থীকে কুমীর হাত কামড়ে টেনে নিয়ে যায় ২৫ মার্চ, ২০১৭। এ বিষয়ে নাগরিক সাংবাদিকদের রিপোর্টগুলো খেয়াল করছিলাম।
ফেসবুকে দুর্ঘটনার নানা ছবির কোলাজ করেছেন Zakaria Salauddin। তার সাথে তিনি এই ছবিটাও জুড়ে দিয়েছেন, যেটি আসাদুজ্জামান রনির নয়।
নীল [ Shabnam Azim এর পুত্র] কে ইমপ্রেস করার জন্য আমিও কুমীরের পিঠে ছবি তুলে দেখাবো বলে বলে রেখেছিলাম! কিন্তু এসব ঘটনা দেখে আমি এমনকি মজা করেও ফটো-এডিট করে এমন ধরণের ছবি তৈরী করতে চিন্তিত হচ্ছি।
এর আগে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে মাহমুদুল হাসান (২৩) নামের এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের হাত কামড়ে ছিঁড়ে নিয়ে গেছে বাঘ। তিনি টাইগার এরিয়ার দেয়ালে উঠে নেটের ফাঁক দিয়ে হাত ঢুকিয়ে বাঘকে ডাকছিলেন। গতবছর সাফারি পার্কে গেলে, প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছে জানতে পারি, বাঘের সাথে ছবি তোলাই তার উদ্দেশ্য ছিল। মাহমুদুল হাসান অবশ্য প্রাণে বেঁচে গেছেন।