আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয় ওই নির্বাচনে আসলেই সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে কিনা? শুধু তাই নয়, আলোচনায় আছে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএম-এর বিষয়টিও।
বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সংলপে সেনা মোতায়েনের দাবি করেছে।
নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য, এখনও এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আসেনি। ইসি কেবল পদ্ধতিগুলো নিয়ে কথা বলছে, কাজ করছে। তাই সিদ্ধান্ত নিতে আরো সময় লাগবে।
নির্বাচন কমিশনার মো: রফিকুল ইসলাম চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, নির্বাচন কমিশনে এখনো এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কি না, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এখনো অনেক সময় বাকি রয়েছে। সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া নির্ভর করে পরিবেশ-পরিস্থিতির উপরে।
“সেই সময়ে সবাই একত্রে বসে পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিবো। তখন কি পরিবেশ হবে সেটা তো এখন জানিনা বা বলতেও পারি না। কমিশন একসঙ্গে না বসলে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হতে পারে না।”
ইভিএম বাদ হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা কাজ করছি। আমাদের সক্ষমতার বিষয় আছে, ভোটারদের কাছে গ্রহণযোগ্যতার বিষয় আছে। আমরা সক্ষমতা অর্জন করতে না পারলে এবং জনগণ গ্রহণ করতে না পারলে সেটা কার্যকর হবে না।
“এখন তো কেবল নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সেই ব্যাপারগুলোতে সিদ্ধান্ত নিতে আরো অনেক সময় আমাদের হাতে আছে। আমরা এখনো কাজ করছি, পরে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
আরেক নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের সেনা মোতায়েন নিয়ে বক্তব্য প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার খান মো. নুরুল হুদা বাসসকে বলেছেন, বক্তব্যটি তার ব্যক্তিগত। এ ব্যাপারে কমিশন এখনো কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে সেনাবাহিনী নির্বাচনে থাকতে পারে কি না এ ব্যাপারে কথা বার্তা হচ্ছে।
সোমবার নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সবার অনুভূতি হচ্ছে যে, সেনা মোতায়েন হবে। তবে সেনাবাহিনীকে আমরা কীভাবে কাজে লাগাব, কী প্রক্রিয়ায় তারা যুক্ত হবে সেটা বলার সময় হয়নি।’
“কমিশন এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। কমিশন সভায় এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। সময়ই বলে দেবে সেনা মোতায়েন কীভাবে হবে। তবে আমি কখনোই বলতে পারব না যে সেনা মোতায়েন হবে না।’’