বার্মিংহাম থেকে: ভারতের সাথে সেমিফাইনালের আগে বাংলাদেশ দল চাপমুক্ত আছে বলে জানিয়েছেন কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ম্যাচটি টাইগারদের জন্য বড় একটি সুযোগ বলে শিষ্যদের অনুপ্রাণিত করছেন তিনি। দলের প্রতি কোচের বার্তা, সুযোগটা দুহাতে লুফে নাও!
দুদলের লড়াইয়ে ইদানিং বাড়তি উত্তাপ ছড়ায়। তবে হাথুরুর কথা, এটি কোন প্রতিশোধের ম্যাচ নয়, নিজেদের প্রমাণের সুযোগ। ভারতীয় দলের বিপক্ষে কেবল ভালো ক্রিকেট খেলার ব্যাপার। ম্যাচে ভয়ডরহীন ক্রিকেটই খেলতে হবে।
মঙ্গলবার এজবাস্টনে ব্যস্ত অনুশীলন সেশন পার করেছে ‘টিম-টাইগার্স’। ব্যাটে-বলে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে কমতি রাখছে না লাল-সবুজ বাহিনী।
দ্বিতীয় সেমির লাইনআপ ঠিক হওয়ার পর উপমহাদেশের দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর উত্তেজনা বার্মিংহামের এজবাস্টনে পৌঁছে গেছে। ভারতীয় দল মঙ্গলবার পৌঁছালেও দুদিন আগে এসে সেমির জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে টাইগাররা।
ঘণ্টা দুয়েকের অনুশীলন দেখে বোঝার উপায় নেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এবারের আসরের চমক জাগানো দলটি প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে খেলার চাপে আচ্ছন্ন আছে।
দুদেশের মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ম্যাচটিকে ২০১৫’র বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের কাছে বাংলাদেশের হারের মোক্ষম প্রতিশোধের সুযোগ বলে তুলে ধরা হচ্ছে। টাইগার কোচের বরাবরের মত তাতে অবশ্য ভিন্ন মতই দিলেন।
ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের বোলিং ডিপার্টমেন্টকে বৈচিত্র্যময় মনে করেছেন হাথুরু। চার পেসার, সবারই স্কিল আলাদা, শক্তির জায়গা ভিন্ন, এটিই আত্মবিশ্বাসী করে রাখছে কোচকে। আবার ভারতের বোলিং আক্রমণকেও খাটো করে দেখছেন না তিনি।
আম্পায়ার নিয়োগ নিয়েও অভিযোগ নেই কোচের। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের সেমিতে যাওয়ার সাফল্যকে ধারাবাহিক অগ্রগতির উদাহরণ হিসেবেই মানছেন তিনি।
সেইসঙ্গে সেমির লড়াইয়ে ভারতকে এগিয়ে রেখেও টাইগার কোচের সতর্কবাণী, নিজেদের দিনে যেকোন দলকে কাবু করার ক্ষমতা আছে তার দলের।