চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

সুমাইয়া-মনিষার উচ্ছ্বল হাসিতে আলোকিত পুলিশের মুখ

অপহৃত হওয়ার ২৫ দিন পর বাংলাদেশ পুলিশের আন্তরিক প্রচেষ্টায় মা-বাবার কোলে ফিরতে পেরেছে কামরাঙ্গীরচরের বড়গ্রাম এলাকার পাঁচ বছর বয়সী সুমাইয়া। একমাত্র সন্তানকে ফিরে পাওয়ার অানন্দে অাবেগ আপ্লুত হয়েছেন স্টিল কারখানার কর্মচারী জাকির হোসেন ও তার স্ত্রী মনিরা বেগম। পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতার প্রকাশ করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারা। শুধু সুমাইয়ার মা-বাবাই নন; গণমাধ্যমে এ খবর জেনে পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দেশের মানুষ। আমরাও এজন্য পুলিশকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই। আমরা মনে করি, এই সাফল্যের কৃতিত্ব পুরোটাই পুলিশের। শুধু সুমাইয়াকে উদ্ধারই নয়, জঙ্গিবাদ দমন ছাড়াও সম্প্রতি অনেকগুলো ঘটনায় সাফল্য পেয়েছে পুলিশ। গত ১৭ এপ্রিল রাজধানীর আবদুল্লাহপুরে একটি আবাসিক হোটেলে খুন হওয়া পুষ্প রানি দাস হত্যার মূল সন্দেহভাজন লিটন কুমার সরকারকে ১ সপ্তাহের মাথায় সোমবার গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। শুধু তাই নয়; পুষ্প রানির অপহৃত দুই বছর বয়সী নাতনী মনিষাকেও উদ্ধার করে। পরের দিন মঙ্গলবার লিবিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের আন্তরিক তৎপরতা না থাকলে সুমাইয়া-মনিষারা হয়তো কোনদিনই মা-বাবার কোলে ফিরে এমন মধুর হাসি হাসতে পারতো না। তাদের স্থান হতো কোন এক অন্ধকার জগতে যেখান থেকে তারা হয়তো আর কোনদিনই ফিরে আসতো না। যদিও এমন একটা ফুটফুটে মেয়েকে ময়লা খাবার খেয়ে দিন কাটানো অার শারীরিক অত্যাচারের খবর অনেকের হৃদয় স্পর্শ করে গেছে, তারপরও সুমাইয়ার উদ্ধারের খবরে আমরা স্বস্তি বোধ করছি। সুমাইয়া উদ্ধারের পর একজন পুলিশ কর্মকতা বলেছেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত অথৈ আক্তার বৃষ্টি কয়েকবার ভারতে গিয়েছিল। সে মানবপাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত কিনা-  খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরাও তার কথার সঙ্গে একমত। তবে পেছনের যারা এমন জঘন্য কাজের নেতৃত্ব দিচ্ছে; সেই গডফাদারদের ধরতেও পুলিশ তৎপর হবে এটাই অামাদের প্রত্যাশা।