বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তে যেসব ভারী অস্ত্র নিয়ে অবস্থান নিয়েছিল মিয়ানমার সেগুলো সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
শনিবার রাজধানী তেজগাঁওয়ে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের একটি অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,আমরা তাদের বলেছি তোমাদের লোকদের তোমরা নিয়ে যাও, তারা তো তোমাদের দেশেই রয়েছে, মিয়ানমার জানিয়েছে শীঘ্রই তারা তাদের লোক নিয়ে যাবে।
বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা শিগগিরই দেশে ফিরে যেতে পারবেন বলে মনে করছি।
আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, আগের চুক্তি অনুযায়ী আগামী ২৭ মার্চ থেকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে যৌথ টহল দেবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)।
দু দেশের সীমান্তে যখন উত্তেজনা, আতংক তখন টেকনাফের শামলাপুর ও উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা পরিদর্শন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক নিরাপত্তা উপদেষ্টা লিসা কার্টিস। মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া কয়েকজন নারীর কাছে তাদের দুঃসহ অভিজ্ঞতার কথা জেনেছেন তিনি। বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া বার্নিকাটেরও রোববার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের কথা রয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ডে বিজিবি-বিজিপির পতাকা বৈঠক শেষ হয়। এতে বাংলাদেশের পক্ষে অংশ নেয় সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
গত কয়েকদিন ধরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তে উত্তেজনা চলছে। সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে ৫০ গজের মধ্যেই ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছেন মিয়ানমারের সেনারা। অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে টহল বাড়ায় মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ বিজিপিও।
এতে আতঙ্কে রয়েছে নোম্যান্সল্যান্ডের প্রায় ছয় হাজার রোহিঙ্গা। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সীমান্তের এপারে জনবল বাড়ায় বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবিও।