চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল না হলে আন্দোলন

অষ্টম পে স্কেলে ননক্যাডার কর্মকর্তাদের সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সম্মিলিত সরকারি কর্মকর্তা পরিষদ (বাসসকপ)। ক্যাডার-ননক্যাডার কর্মকর্তাদের মধ্যে বিদ্যমান বেতনসহ অন্যান্য বৈষম্য দূর করতে ৫ দফা দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

এসব দাবি আদায়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও কামনা করেছে সংগঠনটি। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দাবি মানা না হলে ৩ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাব-হাইকোর্টের সামনে মানববন্ধন করে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মলেনে সম্মিলিত সরকারি কর্মকর্তা পরিষদ এ দাবি জানান।

তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে; (১) আগের সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল প্রথা ফিরিয়ে আনা, (২) ক্যাডার কর্মকর্তাদের মতো ননক্যাডার কর্মকর্তাদেরও পদোন্নতি নিশ্চিত করা, (৩) ১ম শ্রেণির চাকরি পাঁচ বছর হলে সিনিয়র স্কেল; ১০ বছর হলে উচ্চতর স্কেলসহ পুরো চাকরি জীবনে কমপক্ষে ৪টি বেতন ধাপ পরিবর্তনের সুযোগ রাখা, ২য় শ্রেণির কর্মকর্তাদের আগের বেতন কাঠামোতে বিদ্যমান ৩টি টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বহাল রাখাসহ সমগ্র চাকরি জীবনে কমপক্ষে ৪টি বেতন ধাপ পরিবর্তনের সুযোগ;

(৪) ক্যাডার কর্মকর্তাদের মতো সকল সুযোগ-সুবিধা ননক্যাডার কর্মকর্তাদের একই সুযোগ দেওয়া, এবং (৫) ট্রেজারি রুলস ভঙ্গ করে উপজেলা পর্যায়ে ১৬টি বিভাগকে ইউএনও’র অধীনে আনার সিদ্ধান্ত বাতিল করা।

অনুষ্ঠানে সংগঠনের সভাপতি মো. শফউিল আজম বলেন, একই যোগ্যতা এবং পিএসসির মাধ্যমে চাকরিতে প্রবেশ করেও শুধুমাত্র ননক্যাডার হওয়ার অপরাধে তারা চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। ৩০-৩২ বছর একই পদে চাকরি করে কোনো পদোন্নতি পান না কিংবা বেতন স্কেলেরও পরর্বিতন হয় না।

তিনি আরো বলেন, ঘোষিত পে স্কেল এই বৈষম্য সমাধান না করে বরং উল্টো একই বেতন ধাপে সমগ্র চাকরি জীবন শেষ করে অবসরে যেতে বাধ্য হবেন। যা অত্যান্ত অমানবিক এবং অমর্যাদাকর।

মহাসচিব মো. জিন্নাত আলী বিশ্বাস সংগঠনের ৫ দফা দাবির বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে বলেন, আগে থেকে চলে আসা বেতন ও সার্ভিস বৈষম্য ৮ম পে স্কেলের মাধ্যমে ক্যাডার-ননক্যাডার কর্মকর্তাদের মধ্যে আরও সুস্পষ্ট এবং প্রকট করা হয়েছে। ফলে এ সংগঠনরে অধীন প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ কর্মকর্তা চরম হতাশায় নিমজ্জিত। যার অবসান হওয়ার এখনই সময়, এ ব্যাপারে আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষপে কামনা করছি।

তিনি আরো বলেন, টাইম স্কেল বা সিলেকশন গ্রেড প্রথা চাকরিতে দীর্ঘদিন পদোন্নতি বঞ্চিতদের কথা বিবেচনা করেই প্রবর্তন করা হয়েছিল। কিন্তু এর বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না রেখে প্রজাতন্ত্রের লক্ষ লক্ষ কর্মকর্তা-কর্মচারিদেরকে বঞ্চিত করা হয়েছে।

ঘোষিত পে-স্কেলের মাধ্যমে বেতন প্রায় দ্বিগুণ করা হলেও চাকরি জীবনে বেতন ধাপের কোনো পরিবর্তন ঘটবে না। এতে কর্মকর্তাদের আর্থিক ও সামাজিক মর্যাদা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে দাবি করেন জিন্নাত আলী বিশ্বাস।