সাতক্ষীরার মুন্সিগঞ্জে সুন্দরবন ঘেষা ২শ’ ৫০ বিঘা জমির উপর গড়ে তোলা হচ্ছে ইকোট্যুরিজম সেন্টার।
ওই ট্যুরিজম সেন্টারকে ঘিরে সেখানে সরকারিভাবে তৈরি করা হবে হোটেল ও রেস্টুরেন্ট। এতে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি উন্নত হবে ওই অঞ্চলের মানুষের জীবনমান।
পরিবেশ বান্ধব পর্যটনকে গুরুত্ব দিয়ে সাতক্ষীরার মুন্সিগঞ্জে খোলপেটুয়া নদীর তীরে গড়ে তোলা হচ্ছে আকাশলীনা ইকোট্যুরিজম সেন্টার।
যেখানে থাকবে সুন্দরবন দেখার জন্য সুউচ্চ ওয়াচ টাওয়ার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য মঞ্চ, পরিবেশ বান্ধব সোলার বোট, পর্যটকদের মাছ ধরার জন্য থাকবে ফিসিং জোন, থাকবে সংগ্রহশালা, রেস্টুরেন্ট ও ইকো-হোটেল।
পর্যটকরা বলেন, এখানকার ইকো-ট্যুরিজমে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের জায়গা তৈরি হয়েছে। পৃথিবীর সব দেশেই এখন ইকো-ট্যুরিজম নিয়ে ভাবনা। সরকার যদি ঠিকমতো ব্যবস্থা নেয় তাহলে ভবিষ্যতে ইকো-ট্যুরিজম দিয়ে বাংলাদেশ মাথা উচুঁ করে দাঁড়াবে।
ওই ইকোট্যুরিজম সেন্টারে কটেজ, রেস্টুরেন্টসহ সবকিছুই তৈরী হবে প্রকৃতি থেকে পাওয়া সামগ্রী দিয়ে। নির্মাণ কাজ তত্ত্বাবধান করবে জেলা প্রশাসন ।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান বলেন, এর মাধ্যমে এই এলাকায় পর্যটনের আগমন আরো বেশি ঘটবে। পর্যটনের যে সুবিধা সেটা তারা এখান থেকে পাবে।
ইকোট্যুরিজম সেন্টারটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে সাতক্ষীরার সুন্দরবন ট্যুরিজমের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে জীবনমান উন্নয়নে। বদলে যাবে এলাকার অর্থনৈতিক চিত্র, এমন আশা এলাকাবাসির।