গত বছরের ৫ অক্টোবর উত্তর প্রদেশের হাথরসে গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদন করতে গিয়ে গ্রেপ্তার কেরালার সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পানকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের নামে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
তার আইনজীবী এবং পরিবারের দাবি, সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত তার ওপর চলতো মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন।
বিবিসি জানিয়েছে, গণধর্ষণের ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়ার পথে গ্রেপ্তার কাপ্পানকে ১২ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতো। তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে এবং মুখে থাপ্পর দিয়ে করা হয়েছে বিভিন্ন প্রশ্ন।
সাংবাদিক কাপ্পানের ডায়াবেটিস থাকা সত্ত্বেও পুলিশের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি ওষুধ।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে ভারতের হাথরসের পুলিশ প্রশাসন। তারা বলেছেন, কাপ্পানকে গ্রেপ্তার করেছে জাতিগত দাঙ্গা ও উত্তেজনা সৃষ্টির ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে। তার বিরুদ্ধে এই ঘটনা উস্কে দেওয়ার অভিযোগ ছিল।
শুধু কাপ্পান নয় তার সাথে গাড়িতে থাকা আরও তিনজনের বিরুদ্ধে একই ধরণের অভিযোগ রয়েছে। তাদেরও সেইদিন গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের সময় কাপ্পানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়। তাতে বলা হয়েছে, সিদ্দিক তার তিন সঙ্গী উগ্রপন্থী সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া (পিএফআই) এবং তার শাখা সংগঠন ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে যুক্ত। হাথরসে জাতপাতের দাঙ্গা লাগানোর জন্য বিদেশ থেকে অর্থ নিয়েছেন তারা।
পরিবারের দাবি, দেশদ্রোহের অভিযোগ সত্যি নয়। ও শুধু সাংবাদিক হিসাবে সত্যিটুকু দেখাতে হাথরসে গিয়েছিল। দিল্লিতে মালয়লম সংবাদমাধ্যমের হয়ে কাজ করেন কেরালার সাংবাদিক সিদ্দিক। কাপ্পান সিদ্দিকের মুক্তির জন্য এখনও লড়ে যাচ্ছে তার আইনজীবি এবং পরিবার।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে এক তরুণীকে চার উচ্চবর্ণের ব্যক্তি ধর্ষণ করে। পরিবারের দাবি, তারা দলিত হওয়ার জন্য পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেরি করেছিল। গণধর্ষণের পরে তরুণীর ওপরে অত্যাচার করে অপরাধীরা। তার শরীরের নানা জায়গায় হাড় ভেঙে যায়।