চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

অস্কারে চূড়ান্ত মনোনয়ন পেতে পারে যে ৭ ছবি

খুব বেশীদিন বাকি নেই আর অস্কারের। সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ পেয়েছে আগেই। ৫-১০ মার্চ পর্যন্ত চলবে ভোট। এরপর জানা যাবে চূড়ান্ত মনোনয়নের তালিকা। এবছর অস্কারে কোন ছবিগুলো মনোনয়ন পাবে তা নিয়ে চলছে জল্পনাকল্পনা। এক নজরে দেখে নিন কোন ছবিগুলো থাকতে পারে এবারের মনোনয়নে।

নোম্যাডল্যান্ড: অস্কারদৌড়ে এগিয়ে আছে নোম্যাডল্যান্ড। ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসব, টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, এবং গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডে পুরস্কৃত হয়েছে ক্লোয়ি ঝাও পরিচালিত এই ছবি। ঠিকানা হারিয়ে যাযাবরের মতো ঘুরে বেড়ানো মানুষের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে নোম্যাডল্যান্ড ছবিটি।

জুডাস অ্যান্ড দ্য ব্ল্যাক মেসিয়াহ: ‘জুডাস অ্যান্ড দ্য ব্ল্যাক মেসিয়াহ’ ছবিটি এবছরে মনোনয়নে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাকা কিং পরিচালিত ছবিটি আমেরিকান অ্যাকটিভিস্ট ও সমাজকর্মী ফ্রেড হ্যাম্পটনকে নিয়ে।

প্রমিজিং ইয়ং ওমেন: এমারেল্ড ফেনেল পরিচালিত এই ছবিটি অস্কারের মনোনয়নে যায়গা করে নেয়ার সম্ভাবনা আছে। ছবিতে দেখানো হয়েছে কেরি মুলিগান একজন কম বয়সী নারী অতীতের একটি মর্মান্তিক ঘটনায় আঘাত পেয়ে প্রতিশোধ নিতে চাইছেন।

ওয়ান নাইট ইন মিয়ামি: রেজিনা কিং পরিচালিত এই ছবিতে দেখানো হবে ফেব্রুয়ারি ১৯৬৪ এর এক সন্ধার ঘটনা। চার বন্ধু মাল্কম এক্স, স্যাম কুক, কিম ব্রাউন এবং মুহাম্মাদ আলিকে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অধিকার আন্দোলন নিয়ে আলোচনা করতে দেখা যায় ছবিতে।

নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড: তিন যুদ্ধের সৈনিক ক্যাপ্টেন জেফেরসন কাইলি কিড (টম হ্যাংকস) গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার পাঁচ বছর পর শহরে শহরে ঘুরে খবর বলে বেড়ান। রাস্ট্রপতি, রানীদের খবর, বিশ্বে ঘটে যাওয়া নানা খবর জানা যায় তার কাছ থেকে। এক সময়ে তার যাত্রা সঙ্গী হয় ১০ বছরের একটি মেয়ে। এমন ভিন্ন ধাঁচের কাহিনী নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ ছবিটি।

দ্য ট্রায়াল অব দ্য শিকাগো সেভেন: ষাটের দশকে আমেরিকা যখন ভিয়েতনামের সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, তখন ভিয়েতনাম বিরোধী সক্রিয় কর্মীদের সাথে শিকাগো পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সেই সংঘর্ষের জন্য প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের প্রশাসন আট জন কর্মীকে দায়ী করে মামলা করে। সেই মামলাটি ‘দ্য ট্রায়াল অব শিকাগো সেভেন’ নামে বিখ্যাত হয়ে আছে। পাঁচ মাস ধরে চলা সেই মামলা নিয়েই ‘দ্য ট্রায়াল অব দ্য শিকাগো সেভেন’ সিনেমাটি তৈরি করা হয়েছে।

মিনারি: মিনারি’তে দেখা যায়, ৮০’র দশকের কোরিয়ান একটি পরিবার উন্নত জীবনের আশায় আমেরিকায় আসে। আমেরিকায় এসে পরিবার প্রধান জ্যাকব নতুন কিছু করার স্বপ্ন দেখেন। তিনি সিদ্ধান্ত নেন, কোরিয়া থেকে শাক-সবজি, মাছ-মুরগিসহ কৃষিপণ্য নিয়ে আসার। এগুলো তিনি আমেরিকায় এশিয়ানদের কাছে বিক্রি করবেন। এই সিনেমায় তার স্ত্রীর নাম মনিকা। তাদের ৭ বছর বয়সী ছেলের দৃষ্টিকোণ থেকেই পুরো গল্প দেখানো হয়েছে।