‘সরকার চায় বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সোনালী অতীত ফিরে পাক’
চলচ্চিত্র দিবস: চলচ্চিত্র বাঁচলে, সংস্কৃতি বাঁচবে
দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) দিনটি জমকালো আয়োজনে উদযাপিত হচ্ছে। বুধবার সকালে বিএফডিসিতে তথ্য মন্ত্রণালয় ও বিএফডিসির পক্ষ থেকে চলচ্চিত্র দিবসের উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন তথ্য সচিব আব্দুল মালেক, বিএফডিসির ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক লক্ষন চন্দ্র দেবনাথ, চলচ্চিত্র দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, কো চেয়ারম্যান নায়ক আলমগীর, পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন, চিত্রনায়িকা রোজিনা, অঞ্জনা, নাসরিন, সায়মন সাদিক ও জায়েদ খানসহ বহু পরিচিত মুখকে।
‘চলচ্চিত্র বাঁচলে, সংস্কৃতি বাঁচবে’-এ স্লোগানে উদ্বোধন হয় জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসবের।বর্তমানে চলচ্চিত্রের সংকট মোকাবেলায় সকলকে এসময় একত্র হওয়ার আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, শুধু সরকারি প্রণোদনার আশায় থাকলে চলবে না, চলচ্চিত্রকে বাঁচাতে হলে নিজেদেরকে ভালো মানের চলচ্চিত্র তৈরি করে বাজার তৈরি করতে হবে। আর সে বাজারে প্রণোদনা দিবে সরকার। কারণ আমাদের সরকার চায়, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সোনালী অতীত ফিরে পাক।
জাতীয় চলচ্চিত্র দিবসে উদ্বোধনের পর তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ আরো বলেন, এফডিসির নান্দনিকতা বৃদ্ধি ও আধুনিকায়নে প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। ছবি আমদানির ক্ষেত্রে ১ টি ছবি জমা পড়লে সেটির ছাড়পত্র ১০ দিনের মধ্যে দেয়ার দাবি বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে নির্দেশনা দিয়েছি। হিন্দি ছবি চালানোর ক্ষেত্রে সব পক্ষের সাথে কথা বলব। সিনেমা হল যেন টিকে থাকে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। সিনেমা হলের আধুনিকায়নে স্বল্প সুদে দীর্ঘমেয়াদী লোন দেয়া হবে বলেও জানান তথ্যমন্ত্রী।
এর আগে সকালে বিএফডিসিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় চলচ্চিত্রের প্রবীণ শিল্পীরা। তারপর বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে উদ্বোধন হয় চলচ্চিত্র দিবসের।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অভিনেতা সায়মন সাদিক বলেন, সবার জন্য বিশেষ দিবস এটি। প্রত্যাশা হচ্ছে সিনেমার কল্যাণ চাই। এফডিসিকে এগিয়ে নিতে সরকারের সাহায্য চাই। সিনেমা পিছিয়ে আছে, এ বছরে সেগুলো দূর হবে আশা করি।
শিল্পীদের কম উপস্থিতি বিষয়ে সায়মন সাদিক বলেন দুই দিনব্যাপী এই উৎসবে সবাই আসবেন আশা করি, আর যারা আসবেন না, তাদের আসলে কিছু বলার নেই।
অনুষ্ঠানে সবার বক্তব্য শেষে র্যালি বের হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসবের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।