ব্রাজিলে বসেছে কোপা আমেরিকার ৪৭তম আসর। ১৪ বছর পর ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে বিশ্বফুটলের অন্যতম দুই পরাশক্তি আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল। স্বভাবতই ফাইনালের আগে উত্তেজনা বিরাজ করছে গোটাবিশ্বের ফুটবল প্রেমীদের মধ্যে। সেই রেষ যেনো বাংলাদেশে যেন তুলনামূলক বেশি!
সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে গেছে। মঙ্গলবার দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত চারজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বিষয়টি জাতীয় সংবাদে পরিণত হয়েছে।
কোপা আমেরিকা ঘিরে শুধু নয়, ফুটবল বিশ্বকাপ সহ অন্যান্য টুর্নামেন্ট ঘিরেও এমন উন্মাদনা দেখা যায় আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল সমর্থকদের মধ্যে। তবে এবারের ঘটনাটি অন্যান্য বিবেকবান মানুষদের সাথে ব্যথিত করেছে চিত্রনায়িকা বুবলীকেও।
একজন দায়িত্ববান নাগরিক ও তারকা হিসেবে দু’দলের ভক্তদের সতর্কবার্তা দিলেন চলচ্চিত্র নায়িকা শবনম বুবলী। তিনি আর ফ্যান পেজে লিখেছেন, “প্লিজ, প্রিয় কোনো দলের প্রতি ভালো লাগা বা সাপোর্ট থাকতেই পারে এবং অবশ্যই তা সম্মান করি, কিন্তু তা যেনো নিজেদের ক্ষতি করে বাড়াবাড়ির পর্যায়ে না যায়।”
বুবলী মনে করেন, বাঙালিরা যেমন ভোজনরসিক তেমনি নানান বিনোদনধর্মী শাখায় নিজেদের বিনোদিত করতে ভীষণ ভালোবাসেন। সিনেমা হোক বা খেলা কিংবা এ জাতীয় কিছু। আনন্দপ্রেমী জাতি হিসেবে বুবলী নিজেও খুব গর্ববোধ করেন।
বুবলী বলেন, যখন দেখি বা শুনি আমাদের দেশের মানুষ বিশেষ করে আর্জেন্টিনা- ব্রাজিলের মতো ভিন দেশের খেলা নিয়ে নিজেদের মধ্যে মারপিট, রেষারেষি, হেয় করা, গালাগালি, তর্কাতর্কি, গণ্ডগোল, আহাজারি এবং আত্মহত্যার মত ঘটনা ঘটাচ্ছে তা সত্যি দুঃখজনক।
বসগিরি, পাসওয়ার্ড, সুপারহিরো ছবির এই নায়িকার কথা, যাদের জন্য আমরা এসব করছি তারা তো জানেই না যে তাদের এতো ভক্ত বাংলাদেশে আছে, সবাইকে চেনা তো দূরের কথা! এমনকি তাদের নিজেদের দেশের মানুষেরা তাদের নিজের দেশের খেলা নিয়ে শুধু উপভোগ করে কিন্তু আমাদের মতো এরকম করে কি না আমার জানা নেই। অবশ্যই আমরা সাপোর্টার হতে পারি তাই বলে অন্যকোনো দেশের খেলা নিয়ে নিজেদের মধ্যে কেনো মারপিট, ঝগড়া, ছোট করা, হেয় করা এমন কি আত্মহত্যা একদমই নয়।
বুবলী বলেন, দিনশেষে এই অতি সিরিয়াস ভক্তরাই নিজেকে মানসিক বা শারীরিকভাবে কষ্ট দিচ্ছে। তাতে কি আর্জেন্টিনা বা ব্রাজিলের কিছু আসছে যাচ্ছে? তাই প্লিজ, প্রিয় কোনো দলের প্রতি ভালো লাগা বা সাপোর্ট থাকতেই পারে এবং অবশ্যই তা সম্মান করি, কিন্তু তা যেনো নিজেদের ক্ষতি করে বাড়াবাড়ির পর্যায়ে না যায়।