সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সব রিটার্নিং অফিসার সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে আন্তরিক নন অভিযোগ করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, তারা সরকারের মুখ চেয়েই কাজ করছে। তাদের ইনক্লুসিভ নির্বাচন অপেক্ষা আওয়ামী রাজনৈতিক স্বার্থের দিকেই মনোযোগী বেশী।
সোমবার রাতে নয়াপল্টনে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, গতকাল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের দিন রাজশাহীর রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিসি বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী ও খ্যাতিমান আইনজীবী এবং রাজশাহী-১ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার আমিনুল হক সাহেবের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন।
বিএনপি নেতা বলেন, সম্পূর্ণ বেআইনী ও রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যেই তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। মনোনয়নপত্র বাতিলের পর আপিলের জন্য বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রিটার্নিং অফিসার ব্যারিস্টার আমিনুল হক সাহেবকে হস্তান্তর করছেন না। তবে আগামীকালও কাগজপত্র দেয়া হবে কি না এ বিষয়ে সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ আছে। আগামীকালও যদি উক্ত কাগজপত্র দেয়া হয় তাহলে ঢাকায় এসে আপিল করা তার জন্য দুঃসাধ্য হয়ে পড়বে। ব্যারিস্টার আমিনুল হক সাহেবের মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্তের কাগজপত্র আটকে রাখা গভীর চক্রান্ত ছাড়া আর কিছুই নয়।
রিজভীর অভিযোগ: কোনভাবেই ব্যারিস্টার আমিনুল হককে আটকাতে না পেরে বানোয়াট কাহিনী রচনা করে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে এখন বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও না দেয়ার উদ্দেশ্যই হলো-তিনি যেন আপিল দায়েরের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার আনীত কাল্পনিক অভিযোগ খণ্ডন করতে না পারেন। রাজশাহী বিএনপির জনপ্রিয় রাজনীতিবিদদের আসন্ন নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য আমি রাজশাহীর রিটার্নিং অফিসারের সরকারি নির্দেশ পালনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
রিজভী আরো বলেন: একইভাবে রাজশাহী-৫ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নাদিম মোস্তফাও আসন্ন সংসদ নির্বাচনে বিএনপি’র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন, কিন্তু তারও মনোনয়নপত্র রিটার্নিং অফিসার বাতিল করেছেন। নাদিম মোস্তফা মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্তের জাবেদা নকল তুলতে তাৎক্ষণিক আবেদন করেছিল, কিন্তু রিটার্নিং অফিসার টালবাহানা করে আজও জাবেদা নকল সরবরাহ করেননি। আগামীকাল কখন সেটি পাওয়া যাবে এবং কখন তিনি রাজশাহী থেকে ঢাকা রওয়ানা হবেন সেটিরও কোন নিশ্চয়তা নেই।
বিএনপি নেতা বলেন: মানুষের ক্ষোভের আঁচ টের পাচ্ছেন না রিটার্নিং অফিসারেরা। এই রিটার্নিং অফিসারদের কারণেই সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের পরিবারের কাউকে নির্বাচন করতে দেয়া হচ্ছে না। এই রিটার্নিং অফিসাররাই শহীদ জিয়ার সহধর্মীনী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে। আমরা দেশবাসী এই অন্যায়, এই অবিচার কখনোই ভুলবো না। জনগণের স্মৃতির পর্দা ঝাপসা নয়। অপমানিত জনগণ একদিন সকল অন্যায় কড়ায়-গণ্ডায় আদায় করে নিবে।