শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের (এসএলসি) কঠিন শর্ত মেনে দেশটিতে সফর করতে রাজি নয় বাংলাদেশ। শর্তাবলী নিয়ে বিসিবির আপত্তির পর বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে আয়োজক দেশের বোর্ড। বুধবার এসএলসি প্রতিনিধি দল দেশটির প্রেসিডেন্সিয়াল টাস্কফোর্সের (কোভিড-১৯) সঙ্গে বৈঠক করেছে। কী সিদ্ধান্ত হয়েছে সেটি জানতে অপেক্ষায় বিসিবি।
শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনার পর এসএলসি চিঠিতে বিসিবিকে জানায়, সেখানে গিয়ে ১৪ দিন বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে বাংলাদেশ দলকে। করা যাবে না অনুশীলন, থাকতে হবে হোটেলবন্দি হয়ে। দলে থাকা যাবে না ৩০ জনের বেশি সদস্য। সঙ্গে জুড়ে দেয়া হয় আরও কিছু শর্ত।
এত শর্ত মেনে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তিন ম্যাচের সিরিজ খেলতে শ্রীলঙ্কা যাওয়া সম্ভব নয়, মঙ্গলবার সাফ জানিয়ে দেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। দেশের সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি জানানোর পাশাপাশি আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেন এসএলসিকে।
তারপর দুই দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো কিছু জানায়নি এসএলসি। বিসিবি পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানান, অপেক্ষা কিছুটা দীর্ঘ হতে পারে।
‘আমরা এখনো ই-মেইলের অপেক্ষায় আছি। এখনো পাইনি, আশা করি কয়েকদিনের মধ্যে জানতে পারবো। এটাতো আমাদের কাছে না, সিদ্ধান্তটা শ্রীলঙ্কার, শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটেরও না। জানেন যে তাদের একটা টাস্কফোর্স আছে। এই টাস্কফোর্স কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে শ্রীলঙ্কাতে।’
‘শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট তাদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে, তারা জানলে আমরা পরে জানতে পারবো। আমরা নির্দিষ্ট করে এখনো কিছু বলিনি। বলেছি কোয়ারেন্টাইন মেয়াদ কমাতে হবে ও তার সাথে আমাদের অনুশীলনের সুযোগ থাকতে হবে। এ জিনিসটা তাদের জানিয়েছি। এখন তাদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।’
‘সিরিজের ভাগ্য নিয়ে নির্দিষ্টভাবে আমাদের এখান থেকে কিছু বলা কঠিন। কারণ উত্তরটা ওখান থেকে আসবে। এটা এমন একটা জিনিস তাদের জাতীয় পর্যায়ের সিদ্ধান্ত। এমন না যে শুধু শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের সিদ্ধান্ত। সুতরাং তাদের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতেই হবে। আমরা এখান থেকে চাপ দিলেও কাজ হবে না। তারা নিজেরাই জানাবে আমাদের। তারই অপেক্ষায় আছি। পরবর্তী দুই-তিনদিনের মধ্যে উত্তর আসতে পারে।’
শ্রীলঙ্কা সফর অনিশ্চয়তার সুতোয় ঝুলে থাকলেও জাতীয় দলের ক্রিকেটার, কোচদের দ্বিতীয়বারের মতো কোভিড-১৯ টেস্ট হবে আগের পরিকল্পনা অনুযায়ীই। টেস্ট সিরিজের জন্য বিবেচনায় থাকা ক্রিকেটারদের যারা ঢাকায় অবস্থান, করছেন শুক্রবার তাদের বাসায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
শনিবার করোনা টেস্ট করা হবে অন্য জেলা বা বিভাগ থেকে ঢাকায় ফেরা ক্রিকেটারদের। এতদিন সিলেটে অনুশীলন করে চলা আবু জায়েদ রাহি, ইবাদত হোসেন, খালেদ আহমেদের পরীক্ষাও হবে ঢাকাতেই।
করোনা নেগেটিভি হলে রোববার থেকে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে জাতীয় দলের কোচদের অধীনে অনুশীলন শুরু করবেন তারা। শ্রীলঙ্কা সিরিজ হলে দেশটিতে রওনা হওয়ার আগে আরও দুবার করোনা টেস্ট হবে স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটারদের।