চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

শিশু খাদ্য বিপণন নিয়ন্ত্রণ আইন কার্যকরে প্রয়োজন বিধি প্রণয়ন

২০১৩ সালে মাতৃদুগ্ধ বিকল্প শিশু খাদ্য ও বিপণন নিয়ন্ত্রণ আইনটি সত্যিকার অর্থে কার্যকর করতে হলে দ্রুত বিধি প্রণয়নের তাগিদ সংশ্লিষ্টদের। মাতৃদুগ্ধ বিকল্প আইনটি মোবাইল কোর্টে অন্তর্ভূক্ত করা এবং প্রস্তাবিত বিধির কিছু অসঙ্গতি দূর করার কথাও বলেছেন তারা। 

সাড়ে তিন মাসের শিশু আব্দুল্লাহ আল নোমান। যশোরের অভয়নগর উপজেলার চাপাতলা গ্রাম থেকে মা শিউলির সাথে বেড়াতে যাচ্ছে যশোরে। পথেই শিশু নোমানের কান্না থামাতে বাসের অপেক্ষার অবসরে ফিডারে দুধ খাওয়াচ্ছেন মা। 

চলতি পথে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর কোনো ব্যবস্থা নেই। আবার সরকারিভাবে ৪৯৫টি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে ব্রেস্ট ফিড কর্নার থাকলেও প্রচারণার অভাবে অনেক মা ওই সুবিধা গ্রহণ করেন না।

 সরকারিভাবে জেলা উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ব্রেস্ট ফিড কর্নার ছাড়াও মায়ের বুকের দুধের সুফল সম্পর্কে জানাতে চলছে কাউন্সেলিং।

অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন বলেন, অপুষ্টিজনিত কারণে অনেকে শিশুই এখানে আসে। 

বেসরকারি পর্যায়েও স্বাস্থ্যকর্মীরাও মাঠ পর্যায়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মা ও শিশুর পুষ্টি সম্পর্কে তথ্য দিচ্ছেন। এতে মারাত্বক অপুষ্টি ও অপেক্ষাকৃত কম অপুষ্টির শিকার শিশুদের চিহ্নিত করা যাচ্ছে সহজেই। তারপরও গোঁড়ায় গলদ হিসেবে বিকল্প শিশু খাদ্যের প্রচারণা থেমে নেই। 

প্রচারণা বন্ধে চিকিৎসক সংগঠনের মাধ্যমে চিকিৎসকদের উদ্বুদ্ধ করারও পরামর্শ অনেকের। যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শাহাদাৎ হোসেন, আমরা যেন নিজেরাই উদ্বুদ্ধ হয়ে সবকিছু করতে পারি সেটা দেখতে হবে, অন্যের প্রচারণার অপেক্ষা যেন না করতে হয়। 

মাতৃদুগ্ধ বিকল্প শিশু খাদ্য ২০১৩ আইনটি সত্যিকার অর্থে কার্যকর করতে প্রস্তাবিত বিধির কিছু অসঙ্গতি দুর করার সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ব্রেস্ট ফিড ফাউন্ডেশন-বিবিএফ।

 বাংলাদেশ ব্রেস্ট ফিড ফাউন্ডেশন-বিবিএফের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. এস কে রায় বলেন, বিবিএফ সরাসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছে, যেহেতু বিষয়টি এতদিন মোবাইল কোর্টের অধীনে ছিলো, এখনও যেন এই আইনটি মোবাইল কোর্টের অধীনে থাকে। 

আর মাতৃদুগ্ধ বিকল্প বিপনন আইন ২০১৩’র একটি ধারায় আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে যে কাউকে উদ্যোগী হয়ে মামলা করার বিধানটি সুনির্দিষ্ট করার পরামর্শ বাংলাদেশ ব্রেস্ট ফিড ফাউন্ডেশন-বিবিএফ’র।

 এক্ষেত্রে আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করার এখতিয়ার দেয়ার সুপারিশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।