রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বেপরোয়া বাসের চাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে তিনটা থেকে রামপুরা ব্রিজ এলাকায় রাস্তা বন্ধ করে দেয় স্থানীয় স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
সন্ধ্যা নাগাদ শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিলেও বিকালের বৃষ্টি আর রাস্তা বন্ধ থাকার কারণে চরম যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে দুর্ভোগে পড়ে রামপুরা, বাড্ডাসহ ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা।
সরেজমিনে বিকালে রামপুরায় গিয়ে দেখা যায়, মালিবাগ রেল ক্রসিং থেকে যানজটের সৃষ্টি। মালিবাগের আবুল হোটেলের পর থেকে শিক্ষার্থীদের একটি গ্রুপ কোন যানবাহন ঢুকতে দিচ্ছিল না।
প্রায় আড়াই ঘণ্টা যান চলাচল বিচ্ছিন্ন থাকায় সন্ধ্যার দিকে শিক্ষার্থীরা রাস্তা থেকে অবরোধ তুলে নিলেও বিকালের বৃষ্টি ও রাস্তা বন্ধ থাকায় ঘরমুখী বাসিন্দারা চরম ভোগান্তিতে পড়ে।
আমীর হোসেন নামের একজন বলেন: অফিস থেকে বাসায় ফিরব, কিন্তু যানবাহন না থাকায় দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে, অন্যদিকে যানবাহন নাথাকার কারণে রিক্সা ভাড়া বেড়ে তিনগুণ হয়ে গেছে।
বাড্ডার বাসিন্দা জীবন আহমেদ জানান: শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অামাদের সমর্থন রয়েছে। কিন্তু সরকারের দায়িত্বশীলদের এ বিষয়ে কোন চিন্তা ভাবনা নেই। কিছুদিন আগেও চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকা ও দুর্ঘটনায় যাত্রী নিহত হলে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান করতে গেলে মাহসড়কে তারা গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিল। নীতি নির্ধারকরা তাদের দাবি মেনে নিলেন কিন্তু সাধারণ জনতার সড়ক দুর্ঘটনার সন্তান হারানো বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নিল না।
সন্ধ্যা ৭টার দিকে রামপুরা থানা পুলিশ জানিয়েছে, বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা অবরোধ চালিয়ে গেলেও সন্ধ্যার পর তারা রাস্তা ছেড়ে দেয়। যানবাহনের চাপ বেশি থাকায় জ্যাম নিয়ন্ত্রণে না আসায় এখনো রামপুরা সড়কে ধীর গতিতে গাড়ি চলছে।