বিপ টেস্টে উত্তীর্ণ হতে না পারায় মোহাম্মদ আশরাফুলকে স্কোয়াডে রাখেনি ঢাকা মেট্রো। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়কের নতুন ঠিকানা বরিশাল বিভাগ। যে দলটির হয়ে জাতীয় লিগ খেললে তিনি পেতে পারেন পছন্দের পজিশন চার নম্বরে ব্যাটিং করার সুযোগ। আগের দলে যেটি হয়ে যেত ‘অসম্ভব চাওয়া’। আশরাফুল এ কারণে মনে করেন, ‘শাপে বর’ হয়েছে!
জাতীয় ক্রিকেট লিগে দল বদলে যাওয়ার ব্যাপারটিকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন আশরাফুল। ৩৫ বছর বয়সী এ ক্রিকেটার রোববার মিরপুরে দ্বিতীয়দফা ফিটনেসের পরীক্ষায় বিসিবির বেঁধে দেয়া বেঞ্চমার্ক ১০ পেরিয়েছেন। পেয়েছেন ১০.৩। ফলে ১০ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া জাতীয় ক্রিকেট লিগে তার খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা কেটে গেছে।
নতুন ঠিকানায় নাম লেখানো আশরাফুল এবার মেলে ধরতে চান নিজেকে। ব্যাটিংয়ে পছন্দের চার নম্বর জায়গাটা পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়েছে বরিশালের হয়ে। জাতীয় দলের মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবার ঢাকা মেট্রোতে নাম লেখানোয় পুরনো দলে পাঁচ কিংবা ছয়ে নামতে হতো আশরাফুলকে। দল বদলে যাওয়ার ঘটনাটি যে কারণে তার কাছে ‘মন্দের ভালো’ মনে হচ্ছে।
ফিটনেসের পরীক্ষা দিয়ে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম ছাড়ার আগে আশরাফুল চ্যানেল আই অনলাইনকে জানালেন, অনেকদিন ধরেই নাকি তার ইচ্ছা ছিল দল বদলাবেন। বললেন, মনে করেন এটা আমার জন্য শাপে বর হয়েছে।
‘আমার নিজেরও ইচ্ছা ছিল দল বদলাব। অস্ট্রেলিয়ার পন্টিং, স্মিথদের দেখেছি তারা শুরু করে এক আঞ্চলিক দল থেকে পরে যায় অন্য কোথাও। ২০০০ সাল, ক্রিকেট জীবনের শুরু থেকেই ঢাকা মেট্রোর হয়ে প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলছি। মাঝে কয়েকবার ঢাকা বিভাগের হয়ে খেলেছি। দল বদলে যাওয়ায় আমি মোটেও নিরাশ নই। বরং আশা দেখছি ব্যাটিংয়ে পছন্দের জায়গাটা পাবার। তাহলে হয়ত এবার ভালো কিছু করতে পারব।’
জাতীয় লিগে আশরাফুলদের প্রথম ম্যাচ রাজশাহীতে, সিলেট বিভাগের বিপক্ষে। দেড়শর বেশি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা এ ব্যাটসম্যান অপেক্ষায় আছেন আট হাজারি রানের ক্লাবে নাম লেখাতে। ১৫৬ ম্যাচে ২০টি সেঞ্চুরি ও ৩২টি ফিফটিতে তিনি করেছেন ৭,৯৩১ রান।