পাগল-ছাগলের প্রলাপ বলে বিষয়টি উপক্ষা করবো নাকি এড্রেস করবো– এটা ভাবতে ভাবতেই বেশ কিছুদিন পার করে দিলাম। বলছিলাম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে ‘দেশনেত্রী’ (!) বেগম খালেদা জিয়ার সন্দেহ প্রকাশ করার প্রসঙ্গটি। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে “ত্রিশ লক্ষ শহীদ” সংখ্যাটি শুমারি নির্ভর নয়, কথাটি মিথ্যা নয়।
১৯৭১ এ পাকিস্তানি হানাদারেরা বাংলাদেশের শহর-বন্দর-গ্রাম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাঁদের নির্বিচারে হত্যা করেছিলো, তাদের নাম, নিবাস বা পিতৃপরিচয় আমাদের জন্য লিপিবদ্ধ করে রাখেনি। তেমনটি করলে বেগম জিয়াদের শহীদ শুমারি করাটা বেশ সহজ হতো।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অকৃত্রিম বন্ধু তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিষ্ট পার্টির মুখপত্র ‘প্রাভদা’ ১৯৭১ এর ডিসেম্বরের শেষ দিকে সর্বপ্রথম বাংলাদেশে ত্রিশ লক্ষ শহীদের সংখ্যাটি উল্লেখ করে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ এর ১২ জানুয়ারি এক ভাষণে বলেন যে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা ত্রিশ লক্ষ।
সেই থেকেই এটা যে কোন দেশপ্রেমী বাঙালীর কাছেই একটি আবেগি-সত্য। তবে পাকিস্তানি এবং বাংলাদেশের রাজাকার আলবদরদের কথা আলাদা। বাংলাদেশের মুক্তির যুদ্ধটি একটি প্রথাগত যুদ্ধ ছিলো না এবং এ যুদ্ধের সুনির্দিষ্ট কোন যুদ্ধক্ষেত্রও ছিলো না। একটি প্রচলিত যুদ্ধে উভয় পক্ষের সৈন্য সংখ্যা জানা থাকে, যুদ্ধে কোন পক্ষ কতজন সৈন্য হারালো তা নিরূপণ ও সহজ হয়। কিন্তু, একটি জনযুদ্ধের চরিত্রই আলাদা। বাংলাদেশের জনগণ অর্থাৎ সাড়ে সাতকোটি বাঙালী যার যার অবস্থান থেকে এ যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলো।
শহরে-বন্দরে, গ্রামে-গঞ্জে, পাড়ায়-মহল্লায়, রাস্তা-ঘাটে, খালে-বিলে-নদীতে এ যুদ্ধক্ষেত্রের বিস্তৃতি ছিলো। স্বাধীনতাকামীদের পক্ষে যোদ্ধার সংখ্যা যেমন ছিলো শুমারিবিহীন, ঠিক তেমনি যুদ্ধক্ষেত্রও ছিলো অগণিত। তার সঙ্গে পাকিস্তানী ও তাদের সহযোগীদের হাতে বেশুমার গণহত্যা। এই লাখো-হাজারো যুদ্ধক্ষেত্রের যোদ্ধা ও শহীদদের সংখ্যা নির্ধারণ কিভাবে সম্ভব? আর তার প্রয়োজনই বা কি?
একটু পেছন ফিরে দেখি। পানিতে ভাসমান লাশ এ জীবনে দেখেছি ১৯৭১ সালের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত। তার আগেও দেখিনি, পরেও কখনও নয়। সে আমার শৈশবের কথা, আমরা দাদির বাড়িতে, যুদ্ধ চলছে তখন। জীবন বাঁচাতে চাচা-ফুফুরা সবাই শহর থেকে গ্রামে চলে এসেছেন। চাচাতো ফুফাতো ভাইবোনেরা মিলিয়ে আমরা সাকুল্যে জনাবিশেক হবো। স্কুল নেই, পড়া নেই, সারা দিনই শুধু খেলা।
চৈত্র মাসের শেষ দিকের কোন এক দিনে দুপুর নাগাদ খবর এলো, সোনাডাঙ্গার খাল দিয়ে চারটি লাশ ভেসে যাচ্ছে। আব্বা তখন কাচারি ঘরে শ’খানেক লোক নিয়ে স্থানীয় সংগ্রাম পরিষদের মিটিং করছিলেন। “লাশ ভেসে যাচ্ছে” এ শব্দগুচ্ছ সেই প্রথম আমাদের শোনা। মানুষের লাশ ভেসে যেতে পারে, শেয়াল-কুকুর-শকুনে খেতে পারে, এটা আমাদের এলাকাবাসীর তখনও জানা ছিলো না। মিটিং এ উপস্থিত সকলে স্তম্ভিত! বলে কি, মানুষের লাশ অযত্নে ভেসে যায়, দাফন-সৎকার ছাড়া!
খবরটি যিনি নিয়ে এসেছেন তার উপর আব্বা ধমকে উঠলেন! বললেন, ঠিক দেখছিসতো? গরু, ছাগল বা অন্যকোন পশুর লাশ ভাইসা যাইত্যাছে নাতো? তিনি বললেন, না বড়মিয়া, মানুষেরই লাশ।! খালপাড়ে খাড়াইয়া হক্কলেই দ্যাখতাছে। মিটিংয়ে উপস্থিত সবাই লাশ দেখতে রওনা হলেন, আমিও পিছু নিলাম। আমাদের বাড়ি থেকে সোয়া এক মাইলের মতো দূরত্বে স্রোতস্বিনী এই খালটি। ব্রিটিশ আমলে ফরিদপুরের কুমার নদী আর গোপালগঞ্জ শহর সংলগ্ন মধুমতি নদীর সংযোগ সাধনের জন্যই এই খালটি কাটা হয়েছিলো।
আমরা যখন খালপাড়ে পৌঁছলাম তখন মাহমুদপুর গ্রাম সংলগ্ন খালটির অংশে লাশ চারটি ধীর গতিতে ভেসে চলেছে। শতশত মানুষ পাড়ে দাঁড়িয়ে সে দৃশ্য দেখছিলো তখন। লাশগুলো ফুলে ফেঁপে উঠেছে কিন্তু তখনও পচন ধরেনি। তিন চারটে দাঁড়কাক লাশগুলোর উপর বসে ঠুকরে মাংশ খাওয়ার চেষ্টা করছে। উপস্থিত দর্শকদের সবার কন্ঠেই আহাজারি। আহারে কার বাছা এরা! কি নিষ্ঠুর মৃত্যু, একটু মাটিও কপালে জুটলো না, ইত্যাদি সব কথা সবার মুখে! কেউ কেউ বলছিলো গত পরশু রাতে শ্রীপুর গ্রামে অপারেশন চালিয়ে মিলিটারিরা যাঁদের মেরেছে, এ লাশগুলো তাঁদের মধ্যে কারুরই হবে। কেউ বা বলছিলো, না লাশগুলো গত শনিবার বাথানডাঙ্গা হাটে মিলিটারিরা যাদের মেরেছে তাদেরই হওয়ার কথা!
লাশ যারই হোক তারতো একটা গতি হওয়া চাই। আব্বা হাঁক ছেড়ে বললেন, লাশগুলো পাড়ে আনার ব্যবস্থা করো। বড়সড় একখানা নৌকার সাথে বেঁধে মরদেহগুলো কিনারায় আনা হলো। দেখা গেলো লাশগুলো একটার সাথে আরেকটা দড়ি দিয়ে বাঁধা। কারো বুকে গুলি, কারো পেটের নাড়িভুড়ি বেরিয়ে আছে, মাথায় গুলি লেগে ঘিলু বেরিয়ে আছে একটি লাশের! বীভৎস সে দৃশ্য! ফুলে ফেঁপে লাশগুলোর এমন অবস্থা হয়েছে যে, তাঁদের পরিচিত কেউও আর চিনে উঠতে পারবেন না। এই নাম না জানা শহীদদের লাশ দেখে উপস্থিত সকলের চোখেই অশ্রু। আবার একই সাথে সেই অশ্রুশিক্ত চোখেই প্রতিশোধের তীব্র আগুন!
লাশ সনাক্তকরণ কোনভাবেই সম্ভব নয়। সিদ্ধান্ত হলো ওই খালপাড়েই লাশগুলো দাফন করা হবে।
আরেক দিনের ঘটনা বলি। দাদি ভেতর বাড়ির উঠোনে চেয়ার পেতে আয়েসি ভঙ্গিতে বসে আছেন, অভ্যাসবসত আমি তার আশপাশে ঘুরঘুর করছি। ১৯৭১ সালের কার্তিক মাসের শেষ দিকের কোনো এক সন্ধ্যা। ইদ্রিস কাকা দাদিকে কদমবুচি করে বললেন, রাইতে অপারেশনে যাইত্যাছি চাচিজান দোয়া কইরেন। বেশ কয়েকবার কাকার মাথায় ও মুখে দুহাত বুলাতে বুলাতে কি সব দোয়া পড়লেন দাদি।
তারপরে বললেন, ওগোরে খতম কইরা বাড়ি ফিরোস বাবা, দোয়া করতেছি তগোরে। ইদ্রিস কাকা আমাদের বংশেরই লোক, বাবা-চাচাদের এক সিঁড়ি দূরের চাচাতো ভাই। পুলিশের চাকুরি করতেন। ৭১ এর ২৬ মার্চ কালরাতে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে কর্মরত অবস্থায় পাকিস্তানি মিলিটারি দ্বারা আক্রান্ত হয়ে সাধ্যমতো প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন।
কিন্তু, ট্যাংক আর কামানের গোলার মুখে নিজের রাইফেলটি নিয়ে টিকতে না পেরে কোনমতে জীবন নিয়ে চারদিন পায়ে হেঁটে বাড়িতে এসে পৌঁছুতে পেরেছিলেন। পাকিস্তান সরকারের চাকুরীতে আর ফিরে যাননি। তার সেই রাইফেলটি দিয়ে এলাকার মুক্তিকামী যুবকদের অস্ত্রশিক্ষা দিয়ে গড়ে তুলেছিলেন দুর্ধর্ষ এক যোদ্ধাবাহিনী।
তো সেদিন রাতের সেই অপারেশনটি হওয়ার কথা আমাদের ফুকরা গ্রাম সংলগ্ন মধুমতি নদীতে। নদীর ওই অংশটি ফরিদপুর এবং যশোহর জেলার সীমানা রেখা, পাকিস্তান মিলিটারিদের কাছে স্ট্র্যাটেজিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। দিনে রাতে সর্বক্ষণ লঞ্চ ও গানবোট নিয়ে পাকি সেনারা নদীতে টহল দেয়। ওই অপারেশনে এরকম একটি টহল লঞ্চ গ্রেনেড ল্যান্সার ছুড়ে ডুবিয়ে দেওয়াই ইদ্রিস কাকাদের মুল লক্ষ্য ছিলো। ফুকরা গ্রাম আমাদের বাড়ি থেকে ৫/৬ মাইল দূরবর্তী। মাঝরাতের কিছু আগে থেকেই আমরা গোলাগুলির আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলাম।
দাদি বিছানায় গেলেন না, তসবিহ হাতে সারা রাত ভিতর বাড়ির উঠোনে পায়চারী করলেন। ব্রাশ ফায়ারের শব্দ যতবার গর্জে উঠে দাদি ততবার সশব্দে বলে উঠেন হেফাজত কর মালিক, রহম করো মালিক! শেষ রাতের দিকে গুলির শব্দ থেমে গেল। কিন্তু সকাল অব্দিও ইদ্রিস কাকা বাড়ি ফিরলেন না। দাদি হাঁকডাক করে সকলকে জড়ো করলেন, আমার ইদ্রিস এখনও বাড়ি ফেরে নাই! তোরা সবাই ফুকরা যা, তারে বাড়ি লইয়া আয়!
এক কথায় বলতে গেলে আমরা প্রায় গ্রামশুদ্ধ লোক ফুকরা গ্রামে গিয়ে হাজির হলাম। কিন্তু তন্ন তন্ন করে খুঁজেও ইদ্রিস কাকার টিকিটি মিললো না। ওঁদের অপারেশনটি কিন্তু সফল হয়েছিলো। ইদ্রিস কাকারা ঠিকই একখানি লঞ্চ ডুবিয়ে দিতে পেরেছিলেন। কিন্তু পেছনেই ছিলো আরো দুখানি লঞ্চ ভর্তি পাকিস্তানি মিলিটারি। তারা মাইলখানেক পেছনে লঞ্চ ভিড়িয়ে পাড়ে নেমে পড়ে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে প্রচণ্ড যুদ্ধ চলে সারা রাত।
ওই রাতেই পাক হানাদারেরা শতাধিক নিরীহ গ্রামবাসীকে নির্বিচারে হত্যা করে লঞ্চ ডুবিয়ে দেওয়ার প্রতিশোধ নিয়েছিলো। নদীর পাড় ঘেঁষে চারিদিকে গতরাতের তাণ্ডবের চিহ্ন, কান্না আর আহাজারিতে পুরো এলাকার বাতাস যেন ভারি হয়ে আছে।
ইদ্রিস কাকা আজ অব্দিও বাড়ি ফেরেননি। তিনি যে শহীদ হয়েছেন, আমরা সেটাও নিশ্চিত নই, কারণ আমরা তাঁর লাশটি পাইনি। সহযোদ্ধাদের থেকে শোনা যায় যে গুলিবিদ্ধ ও আহত ইদ্রিসকে সে রাতে পাক হানাদারেরা ধরে নিয়ে যায়। বেগম জিয়াদের কাছে জানতে চাই, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ গণনার কোন ক্যাটাগরিতে ইদ্রিস কাকা পড়বের? ওই রাতে নিহত গ্রামবাসীর সঠিক সংখ্যাটি শহীদ শুমারিতে আনার কোন উপায় কারো জানা আছে কি?
১৯৭১ এ প্রায় প্রতিদিনই খবর আসতো অমুক হাটে পাক সেনারা নির্বিচারে গুলি করে পাখির মতো মানুষ মেরেছে। অমুক গ্রামের সকল বাড়িঘর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিয়ে যাকে সামনে পেয়েছে তাকেই গুলি বা বেয়নেটের খোঁচায় মেরেছে। প্রায় প্রতি সপ্তাহেই আমাদের সোনাডাঙ্গার খাল দিয়ে দুচারটে লাশ ভেসে যেতে দেখেছি আমরা! বেগম জিয়া বলবেন কি, দেশের সেই সংকটকালে কিভাবে এই শত-সহস্র শহীদদের নাম, নিবাস, পিতৃ পরিচয় আপনাদের জন্য লিপিবদ্ধ রাখা সম্ভব ছিলো?
আরো একটি ঘটনা মাত্রই স্মরণে এলো। একাত্তরের অগ্রহায়ণ মাসের খুব ভোরে খবর এলো, গজারিয়ার বিলে দুটি ভাসমান লাশ শকুনে খাচ্ছে! সন্ধানে জানা গেল দুটিই নারী দেহ এবং বিবস্ত্র! লাশ দেখে আন্দাজ করা যায় বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে তাঁদের হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পূর্বে ধর্ষণের চিহ্নও লাশের শরীরে স্পষ্ট। মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে এমন হাজারো লাশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিলো সারা বাংলায়। সেসব লাশ পেয়ে ১৯৭১ এ বাংলাদেশের শকুনেরা ছিলো বেজায় খুশি, আর আজ খালেদা জিয়ারা বেজায় নাখোশ! নিজেদের জীবন নিয়েই সকলের যখন টানাটানি, অন্যের জীবন-মৃত্যুর তালিকা প্রস্তুত কি তখন সম্ভব?
তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের নিশ্চয়ই বাংগালী নিধনের তালিকা প্রণয়ন করার কথা নয়। ১৯৭১ এ পাক বাহিনী এবং তাদের দোসর রাজাকার-আলবদরেরা যে নির্বিচারে বাঙালী নিধন করেছে, একথা অস্বীকার করার উপায় আছে কি? সেদিন ওরা কি আমাদের গুণেগুণে মেরেছিলো যে আমরা নামগুলো খাতায় লিখে রাখবো? এ হত্যাযজ্ঞের পরিধি ছিলো ব্যাপক, বিশাল, ও অমানবিক! সেদিন আমাদের ওরা নির্বিচারে হত্যা করেছিলো! “ত্রিশ লক্ষ” সংখ্যাটি হত্যাযজ্ঞের সেই ব্যাপকতা ও নিষ্ঠুরতাই নির্দেশ করে।
এই সংখ্যা নিয়ে যারা প্রশ্ন তোলেন, তারা বাংলাদেশি বলে দাবি করেন কিভাবে? এ এক অর্বাচিন কুতর্ক, অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিতও বটে। এটা অতীব দুর্ভাগ্যের বিষয় যে আমাদের দেশনেত্রী(!) খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধের গণচরিত্র বুঝতে পারেন না বা বুঝতে চান না।
তবে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় এবারটায় দেশবাসী তাঁর ‘দেশপ্রেম’ বুঝতে পেরেছেন। নিবন্ধের কলেবর আর বাড়াবো না। শেষ কথাটি বলি, বেগম জিয়া মুক্তিযুদ্ধের পুরো ন’মাস পাকিস্তানি সেনাদের নিয়ন্ত্রিত ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে স্বেচ্ছাবন্দি ছিলেন, বাংলার আপামর মানুষের জনযুদ্ধের স্বরূপ তিনি বুঝবেন কিভাবে?
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)