চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে এসে সেলফি!

একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সবার জন্য খুলে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। এরপর সকাল থেকেই সেখানে সর্বস্তরের মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থার পক্ষ থেকে শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাননো হয়। তবে এই শ্রদ্ধা জানাতে এসে অনেকেই সেলফি তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন! আবার কারো কারো কাছে শ্রদ্ধা নিবেদনের চেয়ে সেলফিই হয়ে উঠেছে মূখ্য বিষয়!

বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, শহীদ মিনারে গিয়ে অনেকেই যেন আছেন সেলফি তোলার প্রতিযোগিতায়। বিভিন্ন অ্যাঙ্গেলে ছবি তুলছেন নিজের ও প্রিয়জনের। তবে বছরের এই গুরুত্বপূর্ণ দিনকে ফ্রেমবন্দি করে রাখতেই সেলফি তুলছেন বলে জানান অনেকে।

বেসরকারি একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন কামাল হোসেন। ছুটির দিন থাকায় স্ত্রী-বন্ধুদের নিয়ে এসেছেন শহিদ মিনারে। তিনি চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: শহীদ মিনার শ্রদ্ধার একটি জায়গা। ছুটির দিনে অন্য কোথাও না গিয়ে স্মৃতির মিনারে ঘুরতে আসলাম। দিনটিকে নিজেদের কাছে স্মরণীয় করে রাখতে সেলফি তুলে সবাইকে একই ফ্রেমে রাখলাম।

মুদি দোকান বন্ধ রেখে শহীদ মিনারে এসেছেন সফর আহমেদ। তিনি বলেন: আজ আর দোকান খুলবো না। শহীদ মিনারে আড্ডা দেব। ছবি তুলবো, গান-বাজনা শুনবো।

সফর আহমেদ বলেন: ভাষার জন্য আমাদের পূর্বসূরী বাঙালিরা জীবন দিয়ে গেছেন। তাই দিনটি আমরা কষ্টের সাথে স্মরণ করি।  

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার ও শফিউরসহ নাম না-জানা অনেক শহীদ ঢাকার রাজপথে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে রচনা করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের ভিত্তি। তাদের আত্মদানের স্মৃতিকে ধরে রাখতে দেশে উদযাপিত হয়ে আসছে মাসজুড়ে অমর একুশে।

মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় বাঙালির এই আত্মত্যাগের দিনটি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে সারা বিশ্বে।