শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত হাঙ্গেরি থেকে অস্ট্রিয়া হয়ে জার্মানি পৗঁছেছে ইউরোপে অভিবাসন প্রত্যাশী প্রায় ১০ হাজার সিরীয় এবং ইরাকিসহ কয়েকটি দেশের মানুষ। অস্ট্রিয়াও বেশ কয়েক হাজার মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে। জার্মানী ও অস্ট্রিয়ার পথে পথে অভিবাসীদেরকে সাধারণ মানুষ স্বাগত জানিয়েছে, তাদের পাশে থাকার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেছে। প্যারিসে কয়েক হাজার মানুষ মিছিল করেছে ফ্রান্সে শরণার্থীদের জায়গা দেয়ার দাবিতে।
চিরঘুমের দেশে সিরীয় শিশু আয়লান চলে যাওয়াতে ঘুম ভেঙেছে ইউরোপের নেতাদের। শনিবার দুপুর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিশ্ব দেখেছে এক মানবিক ইউরোপকে। হাঙ্গেরীতে একদিন আটকে থাকার পরে বেঁচে থাকার জন্য মরিয়া মানুষেরা দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে মিউনিখ পৌঁছালে তাদের স্বাগত জানায় স্থানীয়রা। অনেকে বহুদূরের শহর থেকেও আসে তাদের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে। কৃতজ্ঞতায় অনেক অভিবাসন প্রত্যাশীকে জার্মান চ্যাঞ্জেলর এঞ্জেলা মার্কেলের ছবি বুকে আগলে রাখতে দেখা যায়।
অভিবাসীদের পক্ষে দাঁড়াতে শনিবার প্যারিসের রাস্তায় প্রায় ১০ হাজার মানুষ মিছিল করেছে। সিরীয় শরণার্থীদের ফ্রান্সে প্রবেশ করতে দেয়ার জন্য ফরাসী সরকারকে আহ্বান জানানো হয়।
‘শরণার্থীদেরকে আসতে দাও’ বলে শ্লোগান দেয় তারা। অনেকে সিরিয়ায় যুদ্ধ বন্ধে কার্যকর কিছু করার জন্যও সরকারকে বলে। যুদ্ধের কারণেই সেদেশের মানুষ বাস্তুহারা হয়েছে। এর আগে বিক্ষোভের মুখে হাঙ্গেরী অভিবাসীদেরকে জার্মানী যেতে তাদের বর্ডার খুলে দেয়। ট্রেন এবং বাস সার্ভিসেরও ব্যবস্থা করা হয়।
জার্মান চ্যাঞ্জেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল অন্যান্য ইউরোপীয় দেশকে অভিবাসী নেওয়ার জন্য নিদিষ্ট কোটা বেঁধে দেওয়ার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নকে বললে তা পূর্বাঞ্চলীয় ইউরোপীয় দেশগুলোর বিরোধিতার মুখে পড়ে। বিপদজনকভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে আসাকে উৎসাহিত করা হবে এই যুক্তিতে বাধ্যতামূলক কোটা ব্যবস্থার বিরোধিতা করেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনও।
ক্যান্টাবেরির সাবেক আর্চ বিশপ লর্ড কেরি বলেন, সিরিয়ায় ডেভিড ক্যামেরুনের সাহায্য কোনো উপকারে আসবে না। এমনকি শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েও সমস্যার সমাধান করা যাবে না। ক্যামেরনের উচিত সিরিয়ায় বিমান হামলা চালানো। এর জন্য প্রয়োজনে গণভোটের আয়োজন করা যেতে পারে বলেও তিনি মনে করেন।