সৌদি আরবে কাজ করেন প্রায় ৩ লাখ বাংলাদেশি নারী। প্রতিদিনই তাদের কেউ না কেউ অত্যাচারিত হয়ে নিঃস্ব অবস্থায় দেশে ফিরছেন। প্রতিনিয়ত মালিকপক্ষ চুক্তি লঙ্ঘন করে বলে অভিযোগ তাদের। শত যোগাযোগ করেও বাংলাদেশ মিশনের সহায়তা পান না তারা।
কদিন আগে সৌদি আরবে থাকা নারী শ্রমিক শিল্পীর আর্তনাদ, অবশেষে তার লাশ হয়ে ফিরে আসা। মধ্যপ্রাচ্যে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকদের ওপর চলা অত্যাচার দাস প্রথাকেও হার মানায়।
ঢাকার কাছের জেলা মানিকগঞ্জের অনেক ঘরেই এরকম শিল্পীর মায়েদের আহাজারি। এই জেলার অনেক বাড়িতেই আছেন মধ্যপ্রাচ্য ফেরত নারী যারা কোনোরকমে জীবনটা নিয়ে ফিরতে পেরেছেন।
তাদের একজন সিঙ্গাইরের বিন্নাডাংগী গ্রামের ফাতেমা। সৌদি আরব থেকে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন দুই মাস আগে।
মানিকগঞ্জে ফাতেমাদের সংখ্যা অনেক। ফাতেমারই এক আত্মীয় ৩ সন্তান দেশে রেখে সৌদিতে গিয়েছিলেন ভাগ্য পরিবর্তনের আশায়। এখন তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন জনের কাছে ছুটছেন স্বজনরা।
একই গ্রামের সালমা। তিন সন্তান রেখে গিয়েছিলেন কাতারে, কিন্তু দালালচক্র তাকে পাচার করে দেয় সৌদিতে। ৫ বছর ধরে সৌদি আরবের বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন পুলিশের ভয়ে। সন্তানরা ফেরত চায় তাদের মাকে।
প্রবাস থেকে বাংলাদেশের জনশক্তি প্রতি বছর দেশে পাঠাচ্ছে ১ লাখ ২৭ হাজার ৫শ’ কোটি টাকা। তাদের পাঠানো রেমিট্যান্সে বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশের চেহারা। অথচ নির্যাতনের শিকার বিশেষ করে নারী শ্রমিকদের নির্যাতিত ও নিঃস্ব হবার খবর তেমন একটা রাখে না রাষ্ট্র।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও প্রতিবেদনে: