চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

লাইসেন্স নেয়ার নির্দেশকে ইতিবাচক মনে করেন চাল ব্যবসায়ীরা

চাল এবং গমের খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে খাদ্য অধিদপ্তর থেকে লাইসেন্স নিতে হবে, অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে- খাদ্যমন্ত্রীর এমন নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন: বড় ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স রয়েছে, তবে যাদের নাই তাদের শিগগিরই লাইসেন্স নেয়া উচিত। কেননা লাইসেন্সবিহীন ব্যবসা করা ঠিক নয় বলে মনে করেন তারা।

বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাস্কিং মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কে এম লায়েক আলী চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, এটা সরকারে বিধান। এই বিধান মানতে হবে। আমাদের লাইসেন্স আছে। যাদের নাই তাদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লাইসেন্স করা উচিত বলে মনে করি।



তবে এই সংগঠনের সভাপতি আব্দুর রশিদ কিছুটা ভিন্নমত পোষন করে বলেন, আমরা যারা চালকল মালিক রয়েছি, আমার জানামতে সবারই লাইসেন্স নেয়া আছে। তবে যাদের নাই তাদের হয়তো লাইসেন্স নিতে হবে। এই মুহূর্তে লাইসেন্স নেয়াটা কতটা জরুরী তা বলতে পারছি না। তবে এই শর্তটা নতুন করে হয়তো ঝামেলা তৈরি করবে। অনেকে লাইসেন্স নিতে গিয়ে ঝামেলায় পড়বেন বলে মনে করেন তিনি। কেননা আগে লাইসেন্স নেয়ার প্রক্রিয়া মোটমুটি সহজ ছিল, এখন তা অতোটা সহজ বলে মনে হয় না।

লাইসেন্স নেয়ার নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন বাংলাদেশ রাইস মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি জাকির হোসেন রনি। তিনি চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, এটা ভাল খবর। চালের পাইকারি ব্যবসায়ীরা লাইসেন্স নিয়েই ব্যবসা করেন। কিন্তু যাদের এই লাইসেন্স নাই তাদের নিয়ে রাখা ভাল। কারণ এই লাইসেন্স সাধারণত মজুদের ক্ষেত্রে বেশি জরুরী। কারণ চাল কি পরিমাণ মজুদ রয়েছে তা অনেক মজুদকারী সরকারকে জানায় না। মজুদ রেখেই তারা চালের দাম বাড়িয়ে দেয়।

বাবুবাজারের সমতা ট্রেডার্সের কর্ণধার কাওসার আলম খান বলেন, আমরা পাইকারি ব্যবসায়ী। আগে একবার লাইসেন্স নিয়েছি।  কিন্তু নতুন করে আবার নিতে হবে কি না জানি না।

সোমবার সচিবালয়ে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক (আরসি ফুড) এবং জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের (ডিসি ফুড) সঙ্গে বৈঠকের পর খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, চাল ও গমের খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ী এবং এ দুটি পণ্যের আমদানিকারক ও মিলারদের (যারা আইন অনুযায়ী লাইসেন্স নেননি) আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে খাদ্য অধিদপ্তর থেকে লাইসেন্স নিতে হবে। অন্যথায় ১৯৫৬ সালের কন্ট্রোল অব অ্যাসেনশিয়াল কমোডিটি অ্যাক্ট অনুযায়ী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।