ক্লাব ফুটবলের ইতিহাসে মাত্র তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ভিন্ন ভিন্ন পেশাদার দলের জার্সিতে তৃতীয়বারের মতো গোলের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন ৩০ বর্ষী নেইমার। ফরাসি লিগে মেটজের বিপক্ষে এমবাপের হ্যাটট্রিকের রাতে এক গোল করে বিরল রেকর্ডটিতে নাম লিখিয়েছেন তিনি।
ব্রাজিলিয়ান নেইমারের নতুন রেকর্ডটি এতদিন ছিল কেবল তার স্বদেশি কিংবদন্তি রোমারিও এবং পর্তুগিজ মহাতারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দখলে।
শনিবার রাতে মেটজের বিপক্ষে ম্যাচের ৩২ মিনিটে বল জালে পাঠিয়ে পিএসজির হয়ে গোলের সেঞ্চুরি আদায় করেন নেইমার। আগে সান্তোসের হয়ে ২২৫ ম্যাচে ১৩৬ বার বল জালে পাঠিয়েছিলেন। পরে বার্সেলোনায় এসেও ধারা বজায় রেখে ১৮৬ ম্যাচে ১০৫ গোল করে যান। বাকি ছিল পিএসজি। সেখানেও গোলের সেঞ্চুরি মিলল। ১৪৪ ম্যাচে নামতে হয়েছে ফ্রেঞ্চ জায়ান্টদের জার্সিতে।
ইতিহাসে প্রথম ফুটবলার হিসেবে ভিন্ন তিনটি ক্লাবের জার্সিতে গোলের সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন রোমারিও। ১৯৮৫ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত খেলে যাওয়া রোমারিও পিএসভি আইন্দোহভেন, ভাস্কো দা গামা এবং ফ্লেমেঙ্গোর জার্সিতে গড়েছিলেন অনন্য রেকর্ডটি।
পরে তার পাশে নাম লেখান পর্তুগিজ রোনালদো। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ ও সবশেষ জুভেন্টাসের জার্সিতে গোলের সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন সিআর সেভেন।
রিয়ালের হয়ে ৪৫০ বার জালে বল পাঠিয়েছেন ৩৭ বর্ষী রোনালদো। রেড ডেভিলদের জার্সিতে সংখ্যাটা ১১৮। জুভেন্টাসের জার্সি খুলে রাখার আগে গোলের সেঞ্চুরি করে গেছেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী। তবে জাতীয় দলের হয়ে ১১৫ গোল তাকে অনন্য উচ্চতায়ই নিয়ে গেছে। চার সেঞ্চুরির যে রেকর্ডে ভাগ নেই আর কারও।
ব্রাজিলের জার্সিতেও রেকর্ড গড়ার পথে নেইমার। স্বদেশি দ্য ফেনোমেনন রোনাল্ডোর করা ৯৮ ম্যাচে ৬২ গোল ছাড়িয়ে গেছেন আগেই। সামনে কিংবদন্তি পেলের করা ৯২ ম্যাচে ৭৭ গোলের রেকর্ড। পেলের থেকে এখনো ৬ গোল দূরে নেইমার, ১১৭ ম্যাচে সেলেসাওদের হয়ে তার গোল ৭১টি।