ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে খেলেছেন, দেখেছেন। পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মহাতারকাকে ভালোই জানা স্পোর্টিং লিসবনে একসময়কার সতীর্থ মাতে রদ্রিগো তেয়োর। জানা থেকেই দাবি, রোনালদো হলেন ফুটবলের মাইকেল জর্ডান, যিনি ক্যারিয়ারে সবকিছু অর্জনে কখনোই পিছপা হন না!
আমেরিকান বাস্কেটবল কিংবদন্তি মাইকেল জর্ডানের জীবনী নিয়ে নেটফ্লিক্সের সাম্প্রতিক তথ্যচিত্র ‘দ্য লাস্ট ড্যান্স’ ঘিরে কয়েকদিন ধরেই বেশ আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। তথ্যচিত্রে দেখানো হয়েছে কোনকিছু পাওয়ার ইচ্ছা করলে সেটা যেকোনো মূল্যে আদায় করেই ছাড়তেন জর্ডান।
নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার ব্যাপারে কখনোই পিছু হটেননি জর্ডান। একই ব্যাপার রোনালদোর মধ্যেও আছে বলে মন্তব্য ২০০১ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত স্পোর্টিংয়ে খেলা তেয়োর। তরুণ বয়স থেকেই রোনালদো বিশ্বের সেরা ফুটবলার হয়ে ওঠার যে পরিশ্রম করতেন, সেটা সামনে থেকেই দেখেছেন তিনি।
‘তার মতো একজন বিস্ময়কর খেলোয়াড়কে সামনাসামনি দেখতে পারার সৌভাগ্য আমার হয়েছে।’
‘১৭ বছর বয়স থেকেই রোনালদো ছিল সবার আলাদা। আমরা ফুটবল খেলতাম, সেখানে ছিল আমাদের মধ্যে সেরা। বিলিয়ার্ড খেলতাম, সেখানেও সে সেরা। যখন ওজন তুলতাম, সে সবার চেয়ে বেশি ওজন তুলতো। তাকে দেখে আমার মাইকেল জর্ডানের কথা মনে পড়ে। যিনি সবকিছুর জন্যই প্রতিযোগিতা করতেন। সে ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলন করতো, এমনকি ম্যাচের দিনেও।’
অনেক আগে আলাদা হয়ে গেলেও এখনও রোনালদোর সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক আছে বলে জানিয়েছেন তেয়ো, ‘ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে আমার এখনও ভালো সম্পর্ক আছে। জন্মদিনে আমার স্ত্রী আমাকে রোনালদোর স্বাক্ষর করা জুভেন্টাসের জার্সি উপহার দিয়েছে। সে কীভাবে এটা পেয়েছে আমি জানি না।’