চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

রোনালদোর পথেই হাঁটবেন মেসি?

ডর্টমুন্ডের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন মেসি

লিওনেল মেসি দলে ছিলেন না। কাফ মাসলের ইনজুরি কাটিয়ে তিনি পুনর্বাসনে ব্যস্ত। কিন্তু মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ডর্টমুন্ডের বিরুদ্ধে খেলতে মরিয়া বার্সা অধিনায়ক।

ডর্টমুন্ড ম্যাচের আগে বার্সেলোনার মহড়া অবশ্য খারাপ হয়নি না। প্রাপ্তির ঘর পূর্ণ কোচ আর্নেস্টো ভালভার্দের। দলের ১৬ বছরের ফুটবলার আনসু ফাতি দু’মিনিটের মাথায় গোল করেছেন। বার্সার জুনিয়র দল থেকে তাকে নেয়া হয়েছে। আগের ম্যাচে ওসাসুনার বিরুদ্ধে গোল পেয়েছিলেন। শেষ ম্যাচে শুধু গোলই পাননি পাতি, ডি জংকে দিয়ে গোল করিয়েছেনও। ফাতি নিজেও গোলটি করেন ডি জংয়ের পাস থেকে। গ্যালারিতে বসে ফাতির খেলা দেখেছেন মেসি। বার্সেলোনার ভক্তরা ফাতিকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন প্রাণখুলে।

১৯৪১ সালের পর বার্সার সিনিয়র দলে ফাতির মতো ১৬ বছরের ফুটবলার খেলছে। বার্সেলোনা পাঁচ গোল দিলেও ‘বিস্ময় বালক’কে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। ২০১২ সালে ‘লা মাসিয়া’য় স্থান পেয়েছিলেন ফাতি। জন্ম গিনিতে। দশ বছর বয়সে তিনি স্পেনে চলে এসেছিলেন পরিবারের সঙ্গে। সেই ফাতি এখন ফুল ফোটাতে শুরু করেছেন বার্সেলোনার বাগানে।

মঙ্গলবার ডর্টমুন্ডের বিরুদ্ধেও তিনি দলে থাকবেন। খেলতে পারেন লিও মেসির সঙ্গে। লিগের বড় জয় পেলেও ভালভার্দের মাথায় ডর্টমুন্ড ম্যাচই ঘুরছে। তাই মেসিকে নামানোর ঝুঁকি নেননি ঘরোয়া ম্যাচে। মেসিও প্রস্তুত হচ্ছেন ডর্টমুন্ড ম্যাচের জন্য। পুরোদমে অনুশীলন করছেন।

মেসিকে চাইছেন বেকহ্যাম
অবাক হওয়ার কিছু নেই, ঘটনা এমনই। মায়ামিতে নতুন ক্লাব খুলেছেন বেকহ্যাম। যার নাম ইন্টার মায়ামি। ২০২০ সাল থেকে যা মেজর লিগ সকারে খেলবে। এখন থেকেই দল গোছাতে শুরু করে দিয়েছেন তিনি। আর তাই বেকহ্যামের ভাবনায় ঢুকে পড়েছেন খোদ মেসি।

বার্সেলোনার সঙ্গে মেসির যা চুক্তি, তাতে ৩২ বছর বয়স পেরিয়ে গেলে মৌসুম শেষে ক্লাব ছাড়তে পারেন। সেই সুযোগটাই নিতে চাইছেন বেকহ্যাম। মিডিয়ার খবর, ইতিমধ্যে ইন্টার মায়ামির স্পোর্টিং ডিরেক্টর পল ম্যাকডোনাঘ মেসির বাবার সঙ্গে লন্ডনে গত শনিবার দেখা করে তাদের প্রস্তাব নিয়ে কথাও বলেছেন।

কিন্তু সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল, মেসি কি বার্সেলোনা ছাড়বেন? এলএম টেনকে পাওয়ার জন্য এক সময় অনেক দূর পর্যন্ত এগিয়ে ছিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল ম্যানচেস্টার সিটি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা কার্যকর হয়নি। বার্সেলোনা ছাড়তে চায়নি তাদের সেরা খেলোয়াড়কে। এক্ষেত্রে কী করবেন বার্সেলোনার কর্মকর্তারা, তা নিয়ে অবশ্য নানা জনের নানা মত আছে।

অনেকেই আবার উদাহরণ দিচ্ছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে আসার পর রিয়াল মাদ্রিদের হয়েই নিজেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন সিআর সেভেন। বছর তিনেক আগেও ভাবা যায়নি যে, তিনি রিয়াল ছাড়তে পারেন। বরং সে সময় রোনালদো নিজেই বারবার বলছেন, ক্যারিয়ারটা এই ক্লাবের হয়েই শেষ করতে চান। বাস্তবে ব্যাপারটা অন্যরকম হয়েছিল। রিয়াল ছেড়ে গতবারই ইতালির ক্লাব জুভেন্টাসে চলে যান। রোনালদোর পথেই কি হাঁটবেন মেসি?