ফেডারেশন কাপে আবারও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। শুক্রবার ফাইনালে পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত বসুন্ধরা কিংসকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা ধরে রাখে জায়ান্টরা।
আবাহনীর হয়ে সানডে চিজোবা জোড়া ও কেরভেন্স ফিলস বেলফোর্ট একটি গোল করেছেন। বসুন্ধরার একমাত্র গোলটি ড্যানিয়ে কলিনদ্রেস সোলেরার।
এই নিয়ে ফেডারেশন কাপে টানা তৃতীয় এবং সব মিলিয়ে টুর্নামেন্টের ১১তম শিরোপা জিতল আবাহনী। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে (১০টি) পেছনে ফেলে এককভাবে সবচেয়ে বেশিবার ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন এখন তারাই।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফাইনালের শুরু থেকেই আধিপত্য দেখালেও কাঙ্ক্ষিত গোল পাচ্ছিল না আবাহনী। উল্টো পাঁচ মিনিটের মাথায় পাল্টা আক্রমণে গোল প্রায় হজম করতে বসেছিল তারা। সে যাত্রায় রক্ষা করেন ডিফেন্ডার ওয়ালী ফয়সাল।
গোল না পাওয়ার সঙ্গে আবাহনীর জন্য নতুন সমস্যা যুক্ত হয় তপু বর্মণ চোট পেলে। ১৬ মিনিটের সময়ই মাঠ ছাড়তে হয় তপুকে। বদলে টুটুল হোসেন বাদশা মাঠে নামেন।
আবাহনীর আক্রমণের মাঝেই ২১ মিনিটের সময় এগিয়ে যায় বসুন্ধরা। দলকে এগিয়ে দেন কোস্টারিকার তারকা সোলেরা। ফেডারেশন কাপে এটি তার পঞ্চম গোল।
এক গোলে পিছিয়ে থাকা আবাহনী দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আক্রমণের ধার বাড়ায়। ফল পায় ৫০ মিনিটে। দলকে সমতায় ফেরান চিজোবা। প্রতিযোগিতায় চিবোবারও সেটি পঞ্চম গোল।
সমতায় ফিরে আক্রমণের ধার আরও বেড়ে যায় আবাহনীর। ৭৮ মিনিটে লিড নেয় তারা। দলের ও নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন চিজোবা। এ গোলেই ফেডারেশন কাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা হন নাইজেরিয়ার ফরোয়ার্ড।
দুই মিনিট পরই বেলফোর্টের হেড জালে জড়ালে আবাহনীর জয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়।
শেষদিকে বল দখল নিয়ে একসময় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন দুই দলের চার ফুটবলার। সুশান্ত ত্রিপুরাকে মিডফিল্ডার জীবন হাত দিয়ে আঘাত করার পর ত্রিপুরা লাথি মেরে বসেন। পরে সুশান্তকে পেছন থেকে পিঠে লাথি মারেন মামুন মিয়া। মামুনকে আবার লাথি মারেন তৌহিদুল আলম সবুজ। রেফারি চার জনকেই লালকার্ড দেখিয়ে বের করে দেন।