রাজধানীর বনানীর হোটেল দ্যা রেইনট্রিতে কীভাবে মদ এসেছে তা জানেন না বলে জানিয়েছেন হোটেলটির মহা ব্যবস্থাপক শাহ মোহাম্মদ আদনান হারুন। মঙ্গলবার শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আদনান হারুন বলেন: হোটেলের বারের কোনো লাইসেন্স নেই কিন্তু হোটেলে কীভাবে মদ এলো তা কর্তৃপক্ষ জানে না বলে জানান তিনি।
শুল্ক গোয়েন্দাদের তলবে বৈধ কাগজপত্র জমা দিয়েছেন কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন: শুল্ক ফাঁকির বিপক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজ আমরা জমা দিয়েছি। এছাড়া ভ্যাটের কাগজপত্রও দিয়েছি। শুল্ক গোয়েন্দারা আমাদের ডকুমেন্ট পেয়ে সন্তুষ্ট।
হোটেল রেইনট্রি কোনো কর্মকর্তারা মদের ব্যাপারে জড়িত কিনা জানতে চাইলে আদনান বলেন: তদন্ত চলছে, এ রকম কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকাল সোমবার রেইনট্রি’র মহাব্যবস্থাপক শাহ মোহাম্মদ আদনান হারুনকে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের দেয়া নোটিশের কার্যক্রম এক মাসের জন্য স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই স্থগিত করে দেয় সু্প্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারপতির আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ওই আদেশের ফলে হোটেল কর্তৃপক্ষকে আজ (মঙ্গলবার) শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর সদর কার্যালয়ে হাজিরা দেন।
২৮ মার্চ রেইনট্রি হোটেলে দু্ই বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় গত ১৭ মে ওই হোটেলের মালিক শাহ মো. আদনান হারুনের হাজিরা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে এক মাস সময় চেয়ে আবেদন করেন। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছয়দিন বাড়িয়ে ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে তাকে ২৩ মে বেলা ১১টায় সাক্ষাতের সময় ধার্য করে দেয় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।
ছবি: রণ মাহমুদ