রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) বাসচালক আব্দুস সালাম হত্যা মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার তাদের একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে নগরীর মতিহার থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মাহবুব আলম নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, নগরীর কাজলা এলাকার তজিবর রহমানের ছেলে শিমুল ওরফে পলাশ এবং নগরীর ভদ্রা এলাকার বাসিন্দা ওয়াশিম।
পুলিশ কর্মকর্তা মাহবুব আলম বলেন: ঘটনার দিন সোমবার রাতে নগরীর ভদ্রা এলাকা থেকে ওয়াশিমকে এবং শুক্রবার রাতে কাজলা এলাকা থেকে পলাশকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার পলাশকে আদালতে হাজির করা হলে সে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।
তিনি বলেন: পলাশ জবানবন্দিতে বলেছে, আগের একটি মারামারির মামলার মধ্যস্থতাকারী ছিল সালাম। সালামের ভূমিকার কারণে মামলাটি মীমাংসা হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পাঁচজন মিলে সালামকে হত্যা করেছে। এ হত্যা মামলার অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তবে বাকি চারজন কে সে ব্যাপারে কিছু বলতে রাজি হননি মাহবুব আলম।
ওসি আরো বলেন: আব্দুস সালাম হত্যা মামলায় ওয়াশিমকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়েছে, তবে রিমান্ড শুনানি হয়নি। আশা করা হচ্ছে শীঘ্রই মামলাটির সমাধান করা সম্ভব হবে।
এদিকে, বাসচালক আব্দুস সালামের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে রুয়েট কর্মচারী সমিতি। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রুয়েটের প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে তারা বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রুয়েটের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের সামনে বাসচালক আব্দুস সালামকে (৫৫) কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। এসময় তার চিৎকারে কয়েকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
পরদিন নিহতের বড় ছেলে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মতিহার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।