তামিম ইকবালের স্ট্রাইকরেট নিয়ে কথা হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরেই। দেশসেরা ওপেনারকে ফের আলোচনায় নিয়ে এসেছে বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপ। ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক টুর্নামেন্টে ৯ ম্যাচে দুই ফিফটিতে করেছেন ৩২৪ রান। যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
রান পেলেও স্ট্রাইকরেট মাত্র ১১৫.৩০। যা পাঁচ দলের আসরটির নিয়মিত ওপেনারদের মধ্যে সবচেয়ে কম। জানুয়ারিতে বঙ্গবন্ধু বিপিএলেও রান তোলায় ধীরগতি ছিল তামিমের।
ঢাকা প্লাটুনের হয়ে খেলা ওপেনার ১২ ম্যাচে ৩৯৬ রান করলেও স্ট্রাইকরেট ছিল ১০৯.৩৯। টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটের সঙ্গে যা বড্ড বেমানান।
সোমবার বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপে বাঁচা-মরার ম্যাচে বেক্সিমকো ঢাকার দেয়া ১৫১ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৮ বলে ২২ রান করেন তামিম। স্ট্রাইকরেট ছিল ৭৮. ৫৭।
অধিনায়কের ধীরগতির ব্যাটিং কঠিন করে তোলে জয়ের পথ। বরিশালের ওপেনার তামিম ক্রিজে ১১ ওভার টিকে থাকলেও মেটাতে পারেননি প্রয়োজনের দাবি।
নাগালে থাকা লক্ষ্যে তামিম ডট বলে চাপ বাড়ান। কঠিন পরিস্থিতিতে থেকে স্রোতের বিপরীতে একা লড়াই করে গেছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। তার ফিফটিও যথেষ্ট হয়নি ফরচুন বরিশালের জন্য। এলিমিনেটর ম্যাচ খেলেই বিদায় নিতে হয় তাদের।
বঙ্গবন্ধু কাপে ওপেনারদের মধ্যে সর্বোচ্চ স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মিনিস্টার রাজশাহীর নেতৃত্ব দেয়া তরুণ ৮ ম্যাচে দুই ফিফটি ও এক সেঞ্চুরিতে ৩০১ রান করেছেন, ১৫৬.৭৭ স্ট্রাইকরেটে।
৭ ম্যাচে তিন ফিফটিতে ৩০৬ রান করা গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের ওপেনার লিটন দাসের স্ট্রাইকরেট ১২৫.৪০। দলটির আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার ৮ ম্যাচে দুই ফিফটিতে ২৫৩ রান করেছেন, ১২৭.৭৭ স্ট্রাইকরেটে।
টুর্নামেন্টে দুইশর বেশি রান করা ওপেনারদের মধ্যে বেক্সিমকো ঢাকার নাঈম শেখ ৯ ম্যাচে এক সেঞ্চুরিতে করেছেন ২৪৮ রান। এ বাঁহাতির স্ট্রাইকরেট ১৩৪.০৫। টি-টুয়েন্টি সংস্করণে জাতীয় দলে বিবেচনায় থাকা ওপেনাররা একে অপরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন ফ্র্যাঞ্চাইজি আসরে নিজের দলকে সেরাটা উপহার দিয়ে। তামিম রানে এগিয়ে থাকলেও বারবার পিছিয়ে পড়ছেন স্ট্রাইকরেটে।
বিপিএল ও তামিম
প্রথম বিপিএলে মাত্র দুটি ম্যাচ খেলেছিলেন তামিম। দ্বিতীয় আসরে দুরন্ত রাজশাহীর হয়ে ১০ ম্যাচে করেছিলেন ২৪৪ রান। স্ট্রাইকরেট ছিল ১২২.০। ২০১৫ সালে তৃতীয় আসরে চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে ৯ ম্যাচে করেন ২৯৮ রান। স্ট্রাইকরেট কমে হয় ১১৮.৭২। ২০১৬ সালে একই দলের হয়ে ১৩ ম্যাচে করেন ৪৭৬ রান। একটি সেঞ্চুরি ও ছয়টি ফিফটি পেলেও স্ট্রাইকরেট চলে আসে ১১৫.৮১তে।
পরে ২০১৭ সালে পঞ্চম আসরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে ১০ ম্যাচে তামিম করেন ৩৩২ রান। স্ট্রাইকরেট বেড়ে হয় ১৩২.৮০। ২০১৯-এর জানুয়ারির বিপিএলে একই দলের হয়ে ১৪ ম্যাচে করেন ৪৬৭ রান। আদর্শ স্ট্রাইকরেট (১৩৩.৮১) নিয়ে শেষ করেন আসর।
সবশেষ দুই আসরে স্ট্রাইকরেট দারুণ হলেও বঙ্গবন্ধু বিপিএলে নেমে আসে ১০৯.৩৯তে। সর্বশেষ বিপিএলের আদলে স্থানীয় ক্রিকেটারদের আসরে তামিমের স্ট্রাইকরেট ১১৫.৩০।