চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

রানের পাহাড় গড়েও রক্ষা পেল না পাকিস্তান

বাটলারের ব্যাটে তাণ্ডবের পর রোজ বোলে দ্বিতীয় ম্যাচে ফখর জামানের অনবদ্য শতরানেও শেষরক্ষা হয়নি। সিরিজের তৃতীয় ম্যাচেও চিত্রটা বদলায়নি। ওপেনার ইমাম-উল হকের ১৫১ রানের ইনিংসেও জয় অধরা থেকে যায় পাকিস্তানের। লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ওপেনার জনি বেয়ারস্টোর দুর্দান্ত শতরানে ভর করে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে ইংল্যান্ড। তৃতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ড জেতে ৬ উইকেটে।

ব্যাটসম্যানদের ব্যাট থেকে ৭টি শতরান এলেও এই নিয়ে টানা ৭টি ওয়ানডে ম্যাচে হার পাকিস্তানের। বিশ্বকাপের আগে স্বভাবতই চিন্তার ভাঁজ পাকিস্তান ক্রিকেটের নীতিনির্ধারকদের কপালে। প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর হাই-স্কোরিং দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে ১২ রানে জয় তুলে নিয়েছিল ইংলিশরা।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

ব্রিস্টলে মঙ্গলবার সিরিজের তৃতীয় ম্যাচও হয় হাই-স্কোরিং। প্রথমে ব্যাট করে বিশ্বকাপ আয়োজক ইংল্যান্ডকে এদিন ৩৫৯ রানের কঠিন লক্ষ্যমাত্রা ছুঁড়ে দেয় পাকিস্তান।

ব্যাট হাতে এদিন দুর্দান্ত দেড়শত রানের ইনিংস খেলেন ওপেনার ইমাম-উল হক। মূলত তার ১৩১ বলে ১৫১ রানের ইনিংসে ভর করেই রানের পাহাড় গড়ে সরফরাজ আহমেদের দল। ইমামের ইনিংস এদিন সাজানো ছিল ১৬টি চার ও ১টি ছক্কায়।

এছাড়াও আসিফ আলির অর্ধশতরান (৫২), হারিস সোহেলের ৪২ রানের ইনিংস ইংল্যান্ডকে বড় রানের টার্গেট দিতে সাহায্য করে। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৫৮ রান তোলে পাকিস্তান। ইংল্যান্ডের হয়ে বল হাতে এদিন সবচেয়ে সফল ক্রিস ওকস ৬৭ রানে তুলে নেন ৪ উইকেট।

জবাবে দুই ইংলিশ ওপেনার জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টোর বিধ্বংসী ওপেনিং পার্টনারশিপ কাজ সহজ করে দেয় বাকি ব্যাটসম্যানদের। ১৭.৩ ওভারে ১৫৯ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। রয় ৫৫ বলে ৭৬ রান করে সাজঘরে ফিরলেও রোখা যায়নি বেয়ারস্টোকে। আইপিএলের খুনে মেজাজেই এদিন পাকিস্তানি বোলারদের ‘পিষ্ঠ’ করেন তিনি। জো রুটকে সঙ্গে নিয়ে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ শতরান তুলে নেন তিনি। তার ৯৩ বলে ১২৮ রানের অনবদ্য ইনিংসে ছিল ১৫টি চার এবং ৫টি ছয়।

বেয়ারস্টো ফিরে যাওয়ার পর রানের গতি বজায় রেখে দলকে লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে দেন জো রুট, বেন স্টোকস ও মঈন আলিরা। রুট ৪৩ ও স্টোকস ৩৭ রানে আউট হলেও অধিনায়ক ইয়ন মরগানকে নিয়ে দলকে বন্দরে পৌঁছে দেন মঈন আলি। ৩৬ বলে ৪৬ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। অধিনায়ক অপরাজিত থাকেন ১৭ রানে। মাত্র ৪৪.৫ ওভারেই পাহাড়সম ৩৫৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা হাসিল করে নেয় ইংল্যান্ড। একইসঙ্গে ৫ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় তারা।