অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বিগত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ সম্পদ থেকে সংগৃহীত অর্থের পরিমাণ ২ লাখ ২৩ হাজার ৮৯২ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
তিনি বলেন: এরমধ্যে আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে রাজস্ব আদায় ৬৩ হাজার ৩৮২ কোটি ১৬ লাখ, স্থানীয় পর্যায়ে মূসক ৮৭ হাজার ৬১০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, আয়কর ও ভ্রমণ কর বাবদ আদায় হয়েছে ৭২ হাজার ৮৯৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত সরকারি দলের সদস্য মো. হাবিবর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন: বিগত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের অংশ হতে সংগৃহীত অর্থের পরিমাণ ৪৯ হাজার ৯৩৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকা অর্থ সংগ্রহ করা হয়। বিগত অর্থবছরে মোট লক্ষ্যমাত্রা ছিল মোট ২ লাখ ৮০ হাজার ৬৩ কোটি টাকা। এছাড়া বিগত অর্থ বছরে ৪ হাজার ২শ’ ৩৮ কোটি ৩৭ লাখ ৩৭ হাজার ৬৬ টাকা স্ট্যাম্প শুল্ক বাবদ আহরিত হয়। উৎসে কর কর্তন হার হ্রাস করার কারণে এবং সুদের হার কমে যাওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।
তিনি বলেন: বিদ্যমান ৩১টি প্রশানিক কর অঞ্চলের সাথে আরো ৩২টি প্রশাসনিক কর অঞ্চল সৃষ্টি করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দেশের উপজেলা পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্রে বর্তমানে ৮৯টি সার্কেলের সাথে নতুন ১৮০টি সার্কেল অফিস স্থাপনসহ মোট ১ হাজার ৩শ’ ৫৩টি সার্কেল অফিস স্থাপন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সঠিক পন্থায় ডিজিটাল অর্থনীতিকে করের আওতায় আনলে এ থেকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় হবে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উল্লেখযোগ্য সহায়তা প্রদান করা হলে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে শুধুমাত্র আয়কর আদায়ের সম্ভাব্য পরিমাণ দাঁড়াবে কমপক্ষে ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা।
জাতীয় পার্টির সদস্য মসিউর রহমানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল জানান, ৭২টি দেশের সাথে মানি লন্ডারিং ও টেরোরিস্ট ফাইনান্সিং প্রতিরোধে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।