চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

রংপুর সিটি নির্বাচনে পরাজয়কে আওয়ামী লীগ যেভাবে দেখছে

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজয়কে প্রতিপক্ষের প্রার্থীর স্থানীয় জনপ্রিয়তার ফল হিসেবে দেখছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। দলটি বলছে: এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৈতিক জয় হয়েছে। সেই সঙ্গে এই ফল আসছে জাতীয় নির্বাচনে কোন প্রভাব ফেলবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির একাধিক দায়িত্বশীল নেতা।

এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন: দেশের নির্বাচন পদ্ধতি যে নিরপেক্ষ, সেটাই রংপুরে প্রমাণ হয়েছে। সিটি করপোরেশন নির্বাচন একটি স্থানীয় নির্বাচন। এর সঙ্গে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কোন সম্পর্ক নেই। এর কোন প্রভাব আগামী সংসদ নির্বাচনে পড়বে না।

দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন: এই ভোটে হারলেও আওয়ামী লীগ অখুশি নয়। ভোটে হারলেও এই নির্বাচনে রাজনৈতিকভাবে জয় আমাদেরই। সবচেয়ে বড় কথা হলো অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন যে স্বাধীন ও কর্তৃত্বপূর্ণ নির্বাচনের রেকর্ড রেখে যাচ্ছে। এটা হলো গণতন্ত্রের বিজয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন: গতকাল যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সেটি ছিল অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন। নির্বাচনে বিশেষ করে নারীদের উপস্থিতি ছিলো লক্ষণীয়। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন এটি প্রমাণ করেছে তারা আগামী জাতীয় নির্বাচন পরিচালনায় কতটুকু দক্ষ হবে।

‘তবে এই নির্বাচনের ফলাফল কোনভাবেই জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না। কারণ এটি একটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এখানে প্রার্থীর স্থানীয় জনপ্রিয়তা বেশি প্রভাব ফেলে’, বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন: রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ফলাফলের কোন প্রভাব জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পড়বে না। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ব্যক্তির জনপ্রিয়তা ও আঞ্চলিকতা কাজ করে।

‘জাতীয় নির্বাচনে একটি দলের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও জনপ্রিয়তা ফলাফলে কাজ করে। তাই রংপুর সিটি কর্পোরেশনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পরাজয় হলেও তার প্রভাব জাতীয় নির্বাচনে পড়বে না।’

বিএনপির সকল অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে উল্লেখ করে মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন: রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পরাজয় হলেও গণতন্ত্রের জয় হয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন।

তিনি বলেন: বর্তমান সরকার গুম-খুনে বিশ্বাস করে না। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ’৭৫ সালের পরে এ দেশে গুম খুনের রাজনীতি শুরু করেছিলেন। তার ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছিল তার দল বিএনপি।