হাড়ের ক্যান্সারকে সঙ্গী করে পৃথিবীতে এসেছিল কাইরন ম্যাক্সওয়েল। এক সময় একটা পা কেটে ফেলতে হয়। পরে কৃত্রিম পা নিয়ে জীবনের হাসি ছড়িয়ে দেয় সমগ্র ইংল্যান্ডে। ২০১২ সালের অলিম্পিকে মশাল হাতে হেঁটেছিল ম্যাক্সওয়েল। মাটিতে পড়ে গেলে নিরাপত্তাকর্মীরা যখন তাকে তুলে ধরেন, তখনও হেসেছিল। সেই হাসি ওই অলিম্পিকের ট্রেডমার্ক হয়ে যায়। জীবনের জয়গান গাওয়া সেই ম্যাক্সওয়েল মারা গেছে!
পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেও শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যায় ম্যাক্সওয়েল। চিকিৎসকরা যখন ঘোষণা দেন আর মাত্র এক সপ্তাহ বাঁচবে, তখন থেকেই তার পেছনে খরচ করতে নিষেধ করে মা-বাবাকে। তার মতো রোগে যেন কেউ আক্রান্ত না হয় সেজন্য একটি দাতব্য সংস্থা চালু করে বালকটি।
ম্যাক্সওয়েলের মৃত্যুর পর তার মা নিকোলা জানিয়েছেন, ‘আপনারা যারা আমার ছেলেকে সমর্থন যুগিয়েছেন তাদের হৃদয় থেকে ধন্যবাদ। সে ঘুমের মধ্যেই শান্তিতে চিরবিদায় নিয়েছে। এখন কাইরনের ইচ্ছা অনুযায়ী আমরা দাতব্য কাজ চালিয়ে যেতে চাই।’
২০১১ সালে তাকে ক্যান্সার মুক্ত ঘোষণা করেছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু বিনিময়ে কাটা গিয়েছিল বাম পা। সেই বছর ইউরোপের সর্বোচ্চ বাজি জেতা এক দম্পতি তাকে কৃত্রিম পা লাগানোর ব্যবস্থা করে দেন। সেই পা দিয়েই অলিম্পিকের মশাল হাতে দৌড়েছিল ম্যাক্সওয়েল।
ইচ্ছা ছিল জীবনদৌড়ে আরও কিছুদিন টিকে থাকার। কিন্তু ক্যান্সারের কাছে পেরে ওঠা হয়নি। মৃত্যুশয্যায় কখনো বিচলিত দেখা যায়নি তাকে। যাওয়ার আগে মাকে বলে গেছে, ক্যান্সার সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে। তার মতো অভাগাদের মুখে হাসি ফোটাতে।