মানুষের জীবনে বিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সময়ের সাথে সাথে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতায়ও এসেছে বিরাট পরিবর্তন। বিশেষ করে বিয়ের মত স্মরণীয় দিনে সুন্দর মুহূর্তুগুলোকে ফ্রেমবন্দি করে ধরে রাখতে উদগ্রীব থাকেন বর ও কনে পক্ষ। আর সেটা কেবল দক্ষতার সাথে করতে পারেন একজন ওয়েডিং ফটোগ্রাফারই!
ওয়েডিং ফটোগ্রাফারকে ছাড়া বিয়ে বিষয়টা এখন কল্পনায় করা যায় না! আবার এমন ফটোগ্রাফারও আছেন, যাদের ডিমান্ড আকাশচুম্বি। তেমনই একজন বাংলাদেশি বংশদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক বিখ্যাত ওয়েডিং ফটোগ্রাফার অ্যালেন খান। যার সিডিউল পাওয়ার পর বর কনেরা তাদের বিয়ের তারিখ চূড়ান্ত করেন।
বিশ্ব বিখ্যাত ওয়েডিং ফটোগ্রাফার অ্যালেন খান। অস্ট্রেলিয়ার বর-কনেরা তাদের বিয়ের ছবি ও ভিডিও করাবেন বলে দুই বছর অপেক্ষা করেন! অবিশ্বাস্য শোনালেও বিষয়টি এমনই। দুই বছরের আগে তার সিডিউল পাওয়া সম্ভব নয়।
অস্ট্রেলিয়ায় অভিভাবকেরা অ্যালেন খানের সিডিউলের সাথে মিলিয়ে বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করে থাকেন। এই কৃতি বাঙালি আলোকচিত্রীর একদিনের বিয়ের ছবি ও ভিডিও করার পারিশ্রমিক বাংলাদেশি টাকায় প্রায় নয় লক্ষ টাকা। তার পরেও বর-কনের পক্ষে স্বপ্নের ফটোগ্রাফার এর সিডিউল পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার ।
রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম নেওয়া এই কৃতি আলোকচিত্রীর পিতা মাতার ইচ্ছা ছিলো ছেলে ডাক্তার হবেন। ভর্তিও হয়েছিলেন মেডিকেল কলেজে। ২ বছর পাঠ করার পর অ্যালেন বুঝতে পারেন ডাক্তারি পড়া তার কাজ নয়। ক্যামেরার টানে চলে গেলেন অস্ট্রেলিয়ায়। শুরু করলেন মনের গভীরে লালন করা বিয়ের ফটোগ্রাফি পেশা। অস্ট্রেলিয়ায় বাস করলেও তাকে টানে বাংলাদেশ। এক সপ্তাহ সময় নিয়ে এসেছেন মাতৃভূমিতে।
বাংলাদেশে এসে কিছু তরুণ ওয়েডিং ফটোগ্রাফারদের সাথে এক মতবিনিময় আড্ডায় বসেছিলেন এই খ্যাতিমান আলোকচিত্রী। দেশের ওয়েডিং ফটোগ্রাফারদের ‘আইডল’ এই কিংবদন্তির কাছ থেকে ছবি তোলার টিপস পেয়ে অভিভূত তরুণ ওয়েডিং ফটোগ্রাফাররা। উপস্থিত স্থানীয় ওয়েডিং ফটোগ্রাফারদের এই আন্তর্জাতিক ওয়েডিং ফটোগ্রাফার বিয়ের ছবি বুকিং থেকে ছবি ডেলিভারি পর্যন্ত ওয়েডিং ফটোগ্রাফির সব গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ বা টিপস তিনি দিয়েছেন মন উজার করে।
অ্যালেন খান বাংলাদেশের ওয়েডিং ফটোগ্রাফির মানের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে বলেন, আগামীতে বাংলাদেশে সময় নিয়ে এসে ফটোগ্রাফারদের নিয়ে প্রফেশনাল ওয়ার্কশপ করার ইচ্ছা পোষণ করেন।
লেখক: আককাস মাহমুদ, সিনিয়র আলোকচিত্রী ও লেখক।