ছোট পরিসরে ১৯২৯ সালের ১৬ মে যাত্রা শুরু হয় অস্কার অ্যাওয়ার্ডের। সেই ঘরোয়া পরিবেশ ছাড়িয়ে এই অ্যাওয়ার্ডটি এখন বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। সোনায় মোড়া, তলোয়ার হাতে ফিল্মের রিলের উপরে দাঁড়িয়ে থাকা এই মূর্তিটিই এখন বিশ্বের শিল্প সাহিত্যের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত এবং সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড হিসেবে সকল তারকার আকাঙ্ক্ষিত।
১৯২৮ সালে এমজিএম এর শিল্প পরিচালক সেড্রিক গিবনস অস্কার অ্যাওয়ার্ডে দেওয়া মূর্তিটি ডিজাইন করেন। ডিজাইনের জন্য মডেল হিসেবে মেক্সিকান অভিনেতা এমিলিও এল ইন্ডিও ফার্নান্দেজকে প্রস্তাব দেয়া হয়। প্রথমে তিনি আপত্তি জানালেও পরবর্তীতে ফার্নান্দেজ ঠিকই নগ্ন হয়ে মডেল হন। পরবর্তীতে ভাস্কর জর্জ স্টেনলি গিবনসের ডিজাইনে কিছু পরিবর্তন এনে আরও উন্নত করেন।
অস্কার পুরষ্কার যখন চালু হলো তখন তা তৈরি হতো ব্রোঞ্জ দিয়ে। ব্রোঞ্জের উপরে ২৪ ক্যারেট সোনার প্রলেপ থাকতো। তবে ১৯৩৮ সালে একবার কাঠের তৈরি অস্কার দেওয়া হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মূর্তি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ধাতুর অভাব পড়েছিল। এই সময় পর পর তিন বছর পেইন্টেড প্লাস্টারের অস্কার মূর্তি প্রদান করা হয়েছিল।
অস্কারের ক্রেস্টগুলো শিকাগোর আর.এস ওয়েন্স অ্যান্ড কোম্পানির কারখানায় তৈরি হয়। এক বছর আগেই কারখানায় ফরমায়েশ পাঠাতে হয়। প্রতি বছর ৫০/৬০টি অস্কার মূর্তি তৈরি করা হয়। ফেব্রুয়ারিতে এগুলো লস অ্যাঞ্জেলসের নিরাপত্তা বাহিনীর দায়িত্বে সিক্রেট ভল্টে পাঠানো হয়।
প্রতিটি অস্কার মূর্তি নিখুঁতভাবে হ্যান্ড ক্রাফটেড। ১৩ দশমিক ৫ ইঞ্চি (৩৪ সেন্টিমিটার) লম্বা এই মূর্তির ওজন ৮ দশমিক ৫ পাউন্ড। প্রথমে ছাঁচে গলানো ধাতু ঢেলে মূর্তির বেজ তৈরি করা হয়। ধাতু জমে শক্ত হলে পলিশ করার পালা। খুব ভালো করে পলিশ করে মসৃণ করার পরে চার রকমের ইলেক্ট্রোপ্লেটিং ধাতুর প্রলেপ দেয়া হয়। শেষ প্রলেপটি হলো ২৪ ক্যারেটের খাঁটি সোনার। এরপর খোদাইয়ের কাজ। এভাবে এক একটি মূর্তি তৈরি করতে কমপক্ষে দশ দিন সময় লাগে। অস্কারস
যেভাবে তৈরি হয় অস্কার অ্যাওয়ার্ডের মূর্তিটি: