এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল, প্রথম ম্যাচের নায়ক হারমিত সিং, দ্বিতীয় ম্যাচের নায়ক আলি খান এবং দলের সেরা অলরাউন্ডার স্টিভেন টেইলরকে বিশ্রামে রেখে একাদশ সাজিয়েও দাপুটে শুরু করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। ৪.৫ ওভারে বিনা উইকেটে তুলে ফেলে ৪৬ রান। দুর্ভাবনার মেঘ অবশ্য সরতে থাকে এরপরই। দারুণ বোলিংয়ে ম্যাচে ফেরার লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেন মোস্তাফিজুর রহমান। আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে প্রথম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে নেন ৬ উইকেট।
টাইগার বাঁহাতি পেসারের আগুনে পুড়ে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০৪ রানে থামে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে নাগালে থাকে লক্ষ্য।
টি-টুয়েন্টিতে বাংলাদেশের সেরা বোলিং ফিগার ছিল সাকিব আল হাসানের ২০ রানে ৫ উইকেট। সেটি ছাপিয়ে ৪ ওভারে মাত্র ১০ রানে ৬ উইকেট নিয়ে ছাড়িয়ে যান সাকিবকে। একাধিকবার ৫ উইকেট শিকারে ছুঁয়ে ফেলেন সাকিবকে। মোস্তাফিজ আগে একবারই ৫ উইকেট পেয়েছিলেন। ২০১৬ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।
হিউস্টনের প্রেইরি ভিউতে তৃতীয় টি-টুয়েন্টিতে টসে জিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ব্যাটিংয়ে পাঠান বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। শায়ান জাহাঙ্গীর ও আনদ্রিজ গাউস ওপেনিং জুটি নিয়ে যাচ্ছিলেন ফিফটির কাছে। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে সাকিব আল হাসানকে উইকেট দিয়ে ফেরেন গাউস। ১৫ বলে ২৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ৫টি চার ও ১টি ছয়ে।
পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে মোস্তাফিজের বলে ফেরেন অপর ওপেনার জাহাঙ্গীর। ২০ বলে ১৮ রান করে তিনিও হন ক্যাচ আউট।
ছন্দ হারিয়ে বসা যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটিংয়ে বড় ধস নামান মোস্তাফিজ। তানজিম হাসান সাকিব ও রিশাদ হোসেন প্রয়োজনের সময় একটি করে উইকেট তুলে রেখেছেন অবদান। পাওয়ার প্লে’তে হুংকার তুললেও মোস্তাফিজের গর্জনে একশ পেরিয়েই থেমে গেছে স্বাগতিক দল।
প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে নাগালে থাকা লক্ষ্যই পেয়েছে বাংলাদেশ।