যশোরে বাংলামতি নামে পরিচিত উচ্চ ফলনশীল ব্রি ধান-৫০ আবাদ করছেন কৃষক। স্বল্পমেয়াদী ও কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় এ জাতের ধান আবাদে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকের।:
কৃষক বলছেন, নতুন জাত হিসেবে বাংলামতির ফলন ও বাজারদর দুই-ই পাচ্ছেন তারা। তাই এই ধান চাষে আগ্রহ বেড়েছে তাদের।
কৃষকরা জানান,বোরো জাতের ধানের তুলনায় এ ধানের ফলন ও দাম দুটোই ভাল। এজন্য এ ধান চাষে তাদের আগ্রহ বাড়ছে।
এ বছর আমন মৌসুমে স্বল্পমেয়াদী বিনা-৭ ধান চাষ করেন কৃষক। প্রচলিত জাতগুলোর চেয়ে ৩০ দিন আগে ধান কেটে জমিতে সরিষা বোনেন তারা। শেষে বোরো মৌসুমে ব্রি ধান-৫০ আবাদ করে বছরে অনায়াসে ঘরে তুলতে পারছেন তিনটি ফসল।
চাহিদা বেশি হওয়ায় আগামীতে সরবরাহ আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানালেন যশোরের বীজ উৎপাদক ও সরবরাহকারী নাসরিন নাহার।
ব্রি ধান-৫০ জাতটি সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে কর্মসূচি নিয়েছে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা-ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে সিসা প্রকল্প।
প্রকল্পটির ক্রপিং সিস্টেম স্পেশালিস্ট এ কে এম ফেরদৌস জানান, সিসা প্রকল্পের আওতায় অনেক কৃষক,উৎপাদনকারী এবং বিক্রেতাদের নিয়ে কাজ করছে তার সংগঠন।
উন্নত এ জাতটি সম্পর্কে কৃষককে উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন এলাকায় মাঠ দিবস ও কৃষক সমাবেশের আয়োজন করছে কৃষি বিভাগ।