চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ময়মনসিংহে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সফর

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ফুড সেফটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের স্নাতক বিজ্ঞান ডিগ্রি কর্মসূচি সম্পর্কে জানতে ময়মনসিংহে দুই দিনের সফর করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবাট মিলার।

সোম ও মঙ্গলবার তিনি ময়মনসিংহ সফর করেন।

সফরকালে রাষ্ট্রদূত মিলার ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকসহ এলাকার শিক্ষাবিদ, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রদূত মিলার উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জসিম উদ্দিন খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিশ্ববিদ্যালয়টির বিভিন্ন কর্মসূচি ও বাংলাদেশের কৃষিখাতে এটির অবদান সম্পর্কে অবগত হন। তিনি ফুড সেফটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। দেশের কৃষি-রপ্তানি খাতে খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক পেশাজীবীদের চাহিদা পূরণে ইউএসএআইডির সহায়তায় ২০১৯ সালের মার্চে এ কর্মসূচি চালু হয়। দক্ষিণ এশিয়ায় এধরনের কর্মসূচি এটিই প্রথম।

রাষ্ট্রদূত মিলার ইউএসএআইডির কারিগরী ও আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত একটি ক্ষুদ্র প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখেন, যেটি চাল ও অন্যান্য ফসল প্রক্রিয়াকরণে স্বল্পখরচে কয়লা চালিত শুষ্ককরণ যন্ত্র তৈরি করেছে। বাকৃবি-এসটিআরের একটি আধা-টন ক্ষমতার আদর্শ শুষ্ককরণ যন্ত্র ৪ থেকে ৫ ঘণ্টায় চাল শুকাতে পারে। যন্ত্রটি অনেক দক্ষ। প্রচলিত রোদে শুকানো পদ্ধতির চেয়ে এটি ৩০শতাংশ ব্যয় সাশ্রয়ী এবং এতে ফসলহানী হ্রাস পায়। এটি উদ্ভাবনে এবং কৃষিখাতের ক্রমবর্ধমান যান্ত্রিকীকরণের চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সামর্থ্যের পরিচায়ক।

রাষ্ট্রদূত মিলার মুক্তাগাছার জমিদার বাড়ি এবং শশী জমিদার বাড়ির ধ্বংসাবশেষসহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান ঘুরে দেখেন। তিনি স্থানীয় শিল্পকলা একাডেমিতে ময়মনসিংহ গীতিকার একটি লোকায়ত পরিবেশনা দেখেন এবং শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা ঘুরে দেখেন। ইউএসএআইডির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ১৯৭১ সাল থেকে বাংলাদেশকে ৭০০কোটি ডলারের বেশি উন্নয়ন সহায়তা দিয়েছে। ২০১৮সালে ইউএসএআইডি উন্নয়ন সহায়তা দিয়েছে ২১ কোটি ৮০ লাখ ডলার। যা খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সুযোগ বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার উন্নয়ন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়ার অগ্রগতি, পরিবেশ সুরক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার সামর্থ্য বাড়ানো সংক্রান্ত বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের জীবনের মান উন্নয়নে ব্যয় হয়েছে।