ক্রিকেট ম্যাচ কিংবা ব্যাট-বলের স্কিল অনুশীলন শুরুর আগে ফুটবল খেলা ওয়ার্মআপেরই অংশ। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়রা নিয়মিতই এটি করে থাকেন। তবে প্রায়ই ওয়ার্মআপের ফুটবল খেলা রূপ নেয় প্রতিযোগিতায়। ক্রিকেটারদের ফুটবল কসরত প্রদর্শনী বা গোল করার প্রতিযোগিতা যে মোটেও ভাল নয় সেটার বড় উদাহরণ কিছুদিন আগে চোটে পড়া মোস্তাফিজুর রহমান।
সাউথ আফ্রিকা সফরে কিম্বার্লিতে ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগেরদিন ওয়ার্মআপ সেশনে ফুটবল খেলতে গিয়ে গোড়ালির ইনজুরিতে পড়েন দলের গুরুত্বপূর্ণ পেসার মোস্তাফিজ। ৪ নভেম্বর শুরু হতে যাওয়া বিপিএলের পঞ্চম আসরেও খেলা অনিশ্চিত ঢাকা ডায়নামাইটসের এই খেলোয়াড়ের। পড়েছেন ঝুঁকিপূর্ণ গ্রেড-২ স্ট্রেইন অ্যাঙ্কেল ইনজুরিতে।
ভবিষ্যতে ঝুঁকি এড়াতে তাই ফুটবল খেলার সময় প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব থেকে ক্রিকেটারদের দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীস চৌধুরী, ‘আমরা খেলোয়াড়দের সবসময় সতর্ক করে দেই যে, ওয়ার্মআপের খেলাটা হচ্ছে মূল খেলাটার একটা প্রস্তুতি। ওয়ার্মআপ কোনও খেলা নয়। সেটাকে যদি খেলা হিসেবে নেই, ওখানে যদি প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব দেখাই, তাতে মূল খেলা বাধাগ্রস্ত হবে। ওয়ার্মআপে আমরা শরীরটাকে প্রাথমিকভাবে গরম করার জন্য ব্যবহার করব। খেলা শেষে যেমন কুলডাউন করি। খেলোয়াড়রা অনেক সময় জিনিসটা হয়ত মনে রাখতে পারেন না। প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব ওয়ার্মআপে বেশি চলে আসে।’
সেজন্য ওয়ার্মআপে ফুটবল খেলার সময় প্রচলিত পদ্ধতিতে বদল আনার কথা বললেন বিসিবির এই চিকিৎসক, ‘অসতর্কতার কারণে এধরনের ইনজুরি বারবার ঘটছ। আমরা খেলোয়াড়দের সাবধান করে দেই যাতে ওয়ার্মআপে ফুটবল খেলার সময় কেবল সবার অংশগ্রহণ থাকে। এটা ব্যক্তিগত কোনও কৌশল দেখানোর জায়গা না। পাস দিতে হবে, গোল করতে হবে, সেটা এখানে গুরুত্বপূর্ণ না। শরীরটাকে গরম করাই গুরুত্বপূর্ণ। প্রয়োজনে ওয়ার্মআপে ফুটবল খেলার পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনতে হবে।’