দ্রুত বিকাশমান সেবা মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস এর অপব্যবহার রোধ এবং এর সুশৃঙ্খল ও যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে বেশকিছু নির্দেশনা দিয়ে একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই নির্দেশনাগুলো যথার্থভাবে পরিপালনের জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
নির্দেশনাগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক লীলা রশিদের স্বাক্ষরিত এই সার্কুলার জারির দিন থেকেই কার্যকর হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮টি নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে:
১. ২৭/১১/২০১৪ তারিখের পিএসডি সার্কুলার নং-০৭/২০১৪ অনুযায়ী একজন ব্যক্তি কোন এমএফএস প্রোভাইডার এর সাথে একাধিক মোবাইল হিসাব চলমান রাখতে পারবেন না। সে প্রেক্ষিতে কোন গ্রাহকের একই জাতীয় পরিচয়পত্র/স্মার্ট কার্ড বা অন্য কোন পরিচয়পত্রের বিপরীতে আপনাদের সাথে একাধিক মোবাইল হিসাব থাকলে উক্ত গ্রাহকের সাথে আলোচনা করে তার বেছে নেয়া যে কোন একটি মোবাইল হিসাব চালু রেখে অন্য হিসাবগুলো বন্ধ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কোন ক্ষেত্রে গ্রাহকের সাথে আলোচনা করে এরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ দুরূহ হলে যে হিসাবটিতে সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে তা চালু রেখে অন্য হিসাবগুলো বন্ধ করতে হবে।
২. উপরিল্লিখিত পদক্ষেপ গ্রহণকালে যে সকল মোবাইল হিসাব বন্ধ করা হবে তার সমুদয় স্থিতি সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে পরিশোধ/ প্রদান বা হস্তান্তরের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৩. মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেসের ব্যক্তি হিসাবের ক্ষেত্রে লেনদেন সীমা নিম্নরূপে পুনঃনির্ধারণ করা হলঃ
ক্যাশ-ইন (লেনদেনের ধরণ)
লেনদেন সীমা: ক. দিনে সর্বোচ্চ মোট ১৫,০০০ টাকা অনধিক ২ বারে
খ. মাসে সর্বোচ্চ মোট ১,০০,০০০ টাকা অনধিক ২০ বারে
ক্যাশ-আউট (লেনদেনের ধরণ)
লেনদেন সীমা: ক. দিনে সর্বোচ্চ মোট ১০,০০০ টাকা অনধিক ২ বারে
খ. মাসে সর্বোচ্চ মোট ৫০,০০০ টাকা অনধিক ১০ বারে
গ. একটি মোবাইল হিসাবে ক্যাশ-ইন হওয়ার পর ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঐ হিসাব থেকে সর্বোচ্চ ৫,০০০ টাকার বেশি নগদ উত্তোলন (ক্যাশ-আউট) করা যাবে না।
P2P অর্থ স্থানান্তর (লেনদেনের ধরণ)
লেনদেন সীমা: পূর্ব নির্ধারিত সীমা, অর্থাৎ, প্রতিদিন সর্বোচ্চ টাকা ১০,০০০ এবং মাসিক ভিত্তিতে সর্বমোট টাকা ২৫,০০০ বলবৎ থাকবে।
৪. কোন মোবাইল হিসাবে ৫,০০০ টাকা এবং এর বেশি নগদ অর্থ জমা (ক্যাশ-ইন) বা উত্তোলণ (ক্যাশ-আউট) করার ক্ষেত্রে গ্রাহককে তার পরিচয়পত্র/স্মার্ট কার্ড বা তার ফটোকপি এজেন্টকে প্রদর্শন করতে হবে এবং এজেন্ট গ্রাহকের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করবেন।
৫. এজেন্ট গ্রাহকের মোবাইল হিসাবে নগদ অর্থ জমাকরণ (ক্যাশ-ইন) এবং উত্তোলণের (ক্যাশ-আউট) বিবরণ পৃথক পৃথক রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করবেন এবং লিপিবদ্ধ প্রত্যেকটি লেনদেনের বিপরীতে গ্রাহকের স্বাক্ষর বা টিপসই সংরক্ষণ করতে হবে।
৬. উপরিল্লিখিত কার্যাদি এজেন্ট যথাযথভাবে সম্পন্ন করবেন এবং বর্ণিত কার্যাদি সম্পাদনে এজেন্টের গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেলে এজেন্টের এজেন্সিশীপ বাতিল করতে হবে। সে লক্ষ্যে এজেন্টদের উপর আপনাদের নজরদারি জোরদার করতে হবে।
৭. উপরের ১ এবং ২ নং ক্রমিকে বর্ণিত বিষয়ে আপনাদের গৃহীত পদক্ষেপ মাসিক ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করতে হবে। প্রতি মাসের বিবরণী পরবর্তী মাসের ৭ তারিখের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রেরণ করতে হবে।
৮. ০১/০৯/২০১৩ তারিখের পিএসডি সার্কুলার লেটার নং-০১/২০১৩ এর অন্যান্য নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে।