মার্কিন সরকারের ১৯ দিনের অচলাবস্থার পরও মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণে বরাদ্দ না দেয়ায় এ নিয়ে ডেমোক্র্যাট নেতাদের সঙ্গে বৈঠক থেকে ওয়াকআউট করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বৈঠকে ডেমোক্র্যাট নেতা ন্যান্সি পেলোসি ও চাক শুমার সীমানা প্রাচীর তৈরিতে বরাদ্দ না দেয়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকায় ক্ষিপ্ত হয়ে সেখানেই কথা শেষ করে দেন তিনি।
হোয়াইট হাউজের ‘সিচুয়েশন রুম’-এ আয়োজিত বৈঠকটিকে ‘পুরোপুরি সময়ের অপচয়’ বলে বুধবার স্থানীয় সময় রাতে বৈঠকস্থল ত্যাগ করেন ট্রাম্প। এর পরপরই ‘বাই-বাই’ বলে শীর্ষ ডেমোক্র্যাট নেতাদের উদ্দেশ্যে এক টুইট করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
Just left a meeting with Chuck and Nancy, a total waste of time. I asked what is going to happen in 30 days if I quickly open things up, are you going to approve Border Security which includes a Wall or Steel Barrier? Nancy said, NO. I said bye-bye, nothing else works!
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) January 9, 2019
অবশ্য বৈঠক শেষে চলমান শাটডাউন বা আংশিক অচলাবস্থা নিয়ে হোয়াইট হাউজের বাইরে উভয় পক্ষই একে অপরকে দায়ী করে বিভিন্ন মন্তব্য করেন।
মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার পেলোসি অভিযোগ করেন, সরকারি অচলাবস্থার জন্য সরকারি কর্মীরা যে বেতন পাচ্ছে না, বিষয়টিকে তেমন গুরুত্বই দিচ্ছেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্টকে এ ব্যাপারে উদাসীন মনে হচ্ছে। হয়তো তিনি ভাবছেন এই মানুষগুলো লাগলে তাদের বাবার কাছ থেকে আরও টাকা চেয়ে নিতে পারবে। কিন্তু তারা তো সেটা পারবে না।’
উচ্চকক্ষ সিনেটের ডেমোক্র্যাট নেতা শুমার সাংবাদিকদের জানান, তারা দেয়াল বানানোর বরাদ্দ দিতে রাজি না হতেই উঠে চলে যান প্রেসিডেন্ট।
‘তিনি (ট্রাম্প) স্পিকার পেলোসিকে শুধু জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনি কি আমার দেয়াল প্রস্তাবে রাজি?’ পেলোসি বললেন, ‘না’। সাথে সাথেই তিনি উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘তাহলে আমাদের আর আলোচনার কিছু নেই,’ আর বেরিয়ে চলে গেলেন।’
প্রায় ৮ লাখ সরকারি কর্মীকে শাটডাউন শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো চলতি সপ্তাহে বেতন ছাড়া থাকতে হচ্ছে।
এর আগে মঙ্গলবার টেলিভিশনে দেয়া ভাষণেও যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে বাড়তে থাকা মানবিক ও নিরাপত্তা সংকট নিরসনে সেখানে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে কংগ্রেসের কাছে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ চেয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ৮ মিনিটের সেই ভাষণে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও সংস্থার অচলাবস্থার জন্য ডেমোক্র্যাটদের দায়ী করেন।