সড়ক দুর্ঘটনায় সর্বোচ্চ সাজা ৫ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে ‘সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮’-এর খসড়া প্রস্তাবনায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
তবে তদন্তে হত্যা প্রমাণিত হলে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মৃত্যুদণ্ডের সাজার বিধান রাখা হয়েছে।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সোমবার দুপুর পৌনে একটার দিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
১৯৮৩ সালের অর্ডিন্যান্স থেকে নতুন খসড়ায় অনেক পরিবর্তন বা উন্নয়ন রয়েছে বলে জানান সচিব। উদাহরণস্বরূপ তিনি বলেন, ধারা ৬-এ বলা হয়েছে, ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন, ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য ন্যূনতম বয়স ধরা হয়েছে ১৮ বছর। পেশাদার হলে বয়স হতে হবে ২১ বছর। অন্যদিকে কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। এটি আগের আইনে ছিল না।
১১ ধারায় চালককে পয়েন্ট বরাদ্দ বা কর্তনের বিধান রাখা হয়েছে। চালকের ভুলের কারণে পয়েন্ট কাটার ব্যবস্থা রেখে অনুমোদিত হয়েছে প্রস্তাবনাটি। প্রত্যেক চালকের লাইসেন্সের বিপরীতে ১২ পয়েন্ট বরাদ্দ থাকবে। কোনো চালক অপরাধ করলে তার পয়েন্ট কাটা যাবে।
মোট ১২ পয়েন্ট কাটা গেলে তিনি আর কোন দিন ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবেন না।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যেই পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ‘সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮’-এর খসড়া প্রস্তাবনা সোমবার সকালে মন্ত্রিসভার বৈঠকে তোলা হয়।
মৃত্যুদণ্ডসহ জেল-জরিমানার বিধান রেখে সংশোধিত খসড়া প্রস্তাবনা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মন্ত্রিসভায় তোলা হয়। ইচ্ছাকৃত দুর্ঘটনায় মানুষ হত্যা করলে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং আহত করার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের প্রস্তাব রেখে তোলা হয় খসড়া প্রস্তাবনাটি।