সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ৫৯ থেকে ৬০ বছর করার যে আইন তাকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
তবে আদালত তার রায়ের পর্যবেক্ষনে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ৬১ হওয়া উচিত বলে মত দিয়েছেন। সেই সাথে ৬০ বছর বয়সের আইনে অবসরে গিয়ে এলপিআর এ থাকারা তাদের ৬১ বছর পর্যন্ত সকল সুবিধা পাবেন বলে রায়ে বলা হয়।
বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এই রায় দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ বি এম ছিদ্দিকুর রহমান খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এস এম নাজমুল হক।
এই রিট মামলার বিবরন থেকে জানা যায়, ‘গণকর্মচারী (অবসর) আইন, ১৯৭৪’র ধারা সংশোধন করে ২০১২ সালে ৫৭ থেকে ৫৯ বছর করা হয়। এরপর ২০১৩ সালে ওই আইন আকারও সংশোধন করে মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ সরকারি চাকরিজীবীদের অবসরের বয়স সমান ৬০ বছর করা হয়। তবে ৬০ বছর করার ওই বিধান চ্যালেঞ্জ করে গত বছর হাই কোর্টে পৃথক দুটি রিট আবেদন করা হয়। প্রথমে রিট করেন মুক্তিযোদ্ধা ও আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের মহা ব্যবস্থাপক তপন কুমার সাহা। পরে রিট করেন সোনালী ব্যাংকের উপ মহা ব্যবস্থাপক মশির উদ্দিন।
আদালত প্রথমে দুট রিটের পৃথক শুনানি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সরকারি চাকরির অবসরের বয়সসীমা দুই বছর বাড়ানোর নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে। পরে রুল দুটি একিভূত করে রিট আবেদনকারীদের সম্পূরক আবেদনের প্রেক্ষিতে ‘গণকর্মচারী (অবসর) (সংশোধন) আইন, ২০১৩ এর ধারা ৪ এর অ (১) কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, মর্মে রুল জারি করে। সে রুলেরই চূড়ান্ত শুনানি শেষে বুধবার রায় দেন হাইকোর্ট।