আরেকটি অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে জটিল রোগে আক্রান্ত মুক্তামনির হাতে। এবার তার হাতে চতুর্থবারের মতো অপারেশন সম্পন্ন হলো। রোববার সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ছয়জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এই অস্ত্রোপচারে অংশ নেন।
এর আগের বারের অস্ত্রোপচার করে মুক্তামনির হাতের সবগুলো টিউমার অপসারন করা হয়েছিলো। তখন অপারেশন শেষে ডা. সামন্তলাল সেন গণমাধ্যমকে জানান, তার পুরোপুরি আরোগ্য লাভের জন্য আরও তিন থেকে চারটি অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে।
এর আগে ৫ সেপ্টেম্বর মুক্তামনির হাতে তৃতীয় অস্ত্রোপচার করা হয়। আর প্রথম ও দ্বিতীয় অস্ত্রোপচার হয়েছিল ১২ অগাস্ট ও ২৯ অগাস্ট।
সাতক্ষীরার মেয়ে মুক্তামনির দেহে জন্মের দেড় বছর পর একটি ছোট মার্বেলের মতো গোটা দেখা দেয়। এরপর সেটি গাছের গুঁড়ির রূপ নিয়ে বড় হতে হতে ডান হাত শরীরের চেয়ে ভারি হয়ে উঠে। তার এই বিরল রোগ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসার উদ্যোগ নেয়া হয়।
১১ জুলাই সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ঢাকায় আনা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তামণির চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। ১২ জুলাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দেখা গেছে লিমফেটিক ম্যালফরমেশন রোগে ভুগছে মুক্তামনি। এটি একটি জন্মগত রোগ।