মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নিধনের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
বিবৃতিতে তিনি বলেন,‘ প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সে দেশের সরকারী বাহিনী পরিচালিত সুপরিকল্পিত ও বর্বরোচিত ‘জেনোসাইড’-এর ঘটনায় আমি গভীরভাবে বেদনাহত ও উৎকণ্ঠিত।
“সংখ্যালঘু একটি জাতিগোষ্ঠীর ওপর এমন পৈশাচিক নির্মূলভিযানে প্রতিটি বিবেকবান মানুষ স্তম্ভিত। তাদের সকলের হৃদয় বেদনামথিত। এমন ঘৃণ্য ও নিষ্ঠুর কার্যকলাপের নিন্দা জানাবার কোনো ভাষা নেই’।
রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞে মিয়ানমারের অং সান সু চি’র তথাকথিত গণতান্ত্রিক সরকারের সমালোচনা করে খালেদা বলেন, ‘গভীর পরিতাপ ও দুঃখের বিষয় হচ্ছে, কোনো সামরিক জান্তা নয়, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী এবং গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সুচি’র নেতৃত্বে পরিচালিত মিয়ানমারের প্রশাসনই এ অমানবিক সন্ত্রাসী কার্যকলাপের হোতা। যিনি নিজে দীর্ঘকাল নির্যাতিত হয়েছেন তিনি কী করে এমন পৈশাচিক তা-বকে অনুমোদন করছেন, ভেবে আমরা স্তম্ভিত হচ্ছি। অনতিবিলম্বে এই জেনোসাইড বন্ধের জন্য আমি মিয়ানমার সরকারের প্রতি উদাত্ত্ব আহ্বান জানাচ্ছি, যেন আর একটি মানুষও হত্যাকান্ড, উচ্ছেদ ও নির্যাতনের শিকার না হয়।’
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে প্রতিবেশী অন্যান্য দেশ এবং মুসলিম বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন,‘ প্রতিবেশী অন্যান্য দেশ এবং মুসলিম বিশ্বের প্রতিও আমি অভিন্ন আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই যে, কেবল শরণার্থীদের আশ্রয় ও সাহায্য দেয়ার মধ্যেই কোনো সমাধান নিহিত নেই। রোহিঙ্গারা যাতে স্থায়ীভাবে দেশে ফিরে জীবন-সম্পদ-সম্ভ্রমের অখ- নিরাপত্তা ও পূর্ণ নাগরিক অধিকার নিয়ে নিজ মাতৃভূমিতে বসবাস করতে পারে সেই নিশ্চয়তা বিধান কল্পে বাংলাদেশসহ সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রগুলোকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বলিষ্ঠ কূটনৈতিক উদ্যোগ নিতে হবে’ ।