রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান এবং ওআইসির পুনর্গঠনের প্রস্তাবসহ ৩৭ দফা ঢাকা ঘোষণার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ওআইসি’র পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের দুই দিনের ৪৫তম সম্মেলন। মিয়ানমারকে বিচারের আওতায় আনতে মন্ত্রী পরিষদ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তও নিয়েছে ওআইসি।
ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা-ওআইসি’র এবারের সম্মেলনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব পেয়েছে রোহিঙ্গা সংকট। এই মানবিক বিপর্যয়ের স্থায়ী সমাধানে বিশেষ এক অধিবেশনে মিয়ানমারকে জবাবদিহিতা ও বিচারের আওতায় আনতে ওআইসিতে মন্ত্রী পর্যায়ের কমিটি গঠনে প্রস্তাব আনে গাম্বিয়া।
এই প্রস্তাবের ওপর আলোচনার পর ওই কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী।
এ এইচ মাহমুদ আলী বলেন, প্রত্যাবাসন চুক্তি অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে আমরা প্রস্তুত। তবে তাদের নিরাপদে ফিরিয়ে দেয়ার পরিস্থিতি এখনো হয়নি। তাদের ধ্বংস হয়ে যাওয়া ঘর পুনরায় তৈরি হয়নি।
রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত ও স্থায়ী সমাধানে, মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছেন ওআইসির মহাসচিব।
ওআইসির মহাসচিব ইউসুফ বিন আহমাদ আল-ওতাইমিন বলেন, রোহিঙ্গাদের ওপর এই বর্বরতা জাতিগত নিধন। এই দায় মিয়ানমারকেই নিতে হবে। এর সমাধানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ, আন্তর্জাতিক আদালতসহ বৈশ্বিক সম্প্রদায়কে একসাথে কাজ করতে হবে।
এই সম্মেলনে আসা সিদ্ধান্তগুলোকে বড় কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে দেখছেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
মুসলিম বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠতা ভবিষ্যতে আরও সাফল্য বয়ে আনবে বলে প্রত্যাশা তার।
সামিয়া রহমান প্রিমার ভিডিও রিপোর্ট: