চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

মহেশখালী পৌর মেয়র মকছুদ মিয়াসহ ৩১ জনের নামে ডাকাতির মামলা

মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নে একটি চিংড়ি ঘেরে ডাকাতির অভিযোগে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মহেশখালী পৌর মেয়র মেয়র মকসুদ মিয়াসহ তার ৩০ জন সহযোগীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালত মামলটি গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার এজহার সুত্রে জানা যায় মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের ১৪ লক্ষ টাকার ঘোনা নামক চিংড়ী ঘেরে গত ১৯ অক্টোবর রাত ৯ টায় মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মকছুদ মিয়ার হুকুমে তার ৩০ জন সহযোগী দলবদ্ধ হয়ে চিংড়ী ঘেরে হানা দিয়ে বিপুল পরিমাণ চিংড়ি মাছ লবন ও মুল্যবান মালামাল লুট করে এবং চিংড়ি ঘেরের পরিচালক ও কর্মচারীদের মারধর করে।

এ ঘটনায় চিংড়ি ঘেরের অংশীদার ও পরিচালক মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে মহেশখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা একটি দায়ের করে। বাদী পক্ষের এডভোকেট হামিদুল হক জানান আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আব্বাস উদ্দিন বাদীর আবেদন শুনে মহেশখালী থানার ওসিকে মামলা গ্রহণপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পুলিশকে নির্দেশ দেন। মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল হাই জানান আদালতের নির্দেশে মহেশখালী পৌর মেয়র মকসুদ মিয়াসহ তার ৩০ জন সহযোগীর বিরুদ্ধে আজ ২৫ অক্টোবর সোমবার রাতে ডাকাতির অভিযোগে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।

২৪ অক্টোবর রবিবার মহেশখালী জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে দায়েরকৃত সি,আর মামলা নং- ১৪৪/২১, যার স্মারক নং- ৫৫৮/২১।

মামলার আর্জিতে মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন উল্লেখ করেন ঘটনার দিন ১৯ অক্টোবর রাত ৯ টায় মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মকছুদ মিয়ার নির্দেশে মিরাজ উদ্দিন নিশান (২২), মঈন উদ্দিন (৩০), শামশু উদ্দিন (২৮) আতা উল্লাহ বুখারী (৪৫)মোহাম্মদ মামুন (৪২),জাহাঙ্গীর (৪৫),হাসান মোরশেদ (২৫),বদি আলম (৩৫)মোহাম্মদ খোকন (২৫), মোহাম্মদ শান্ত (২৬)জসিম উদ্দিন (২৪)জাহাঙ্গীর আলম ২৮)অহিদুল্লাহ (২৪) নাছির উদ্দিন (৪৫),জিয়াউর রহমান (২৮), ফরিদ আলম প্রকাশ কালা ফরিদ (২৭),একরাম মিয়া (২৯),আলা উদ্দিন (৩৫), আজিজুল হক (৩০) আজিজুল হক (৩৫) সাইফুল হক (২৮), মজিবুর হক (২৬),রিফাত উদ্দিন ফুতাইয়া (২৯), তোফাইল উদ্দিন (২৪),আনোয়ার হোসেন (৩০),মোক্তার আহমদ (৩৫), আবছার (৩৫), লেদু (৩৫), মাহবুবুর রহমান (৩৫), গিট্যা মাহবুব (২৮) আরো ১০/১৫ জন সংঙ্গবদ্ধ আরো সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া গুলি বর্ষণ করতে করতে ত্রাশ সৃষ্টির মাধ্যমে চিংড়ি ঘেরে নিয়োজিত শ্রমিক নজরুল ইসলাম ও মোঃ ফয়সাল চিংড়ি ঘেরের খামার বাড়ীতে পাহারায় অবস্থায় থাকাকালীন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা তার ঘেরে অনধিকার প্রবেশ করে ব্যপক তান্ডব চালায়। চিংড়ি ঘের দখল উচ্ছেদ করতে পূর্ব থেকে আহরণকৃত মাছ জাল মালামাল লুটপাট ও ডাকাতি করে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা এসময় চিংড়ি ঘেরের কর্মচারীদের কুপিয়ে ও গুলিতে আহত করে। পরে তাদের উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বাদী আরো উল্লেখ করেন, চিংড়ি ঘেরে লুন্ঠণকারীরা ১৫ মণ চিংড়ী মাছ ও মাছ ধরার জাল অন্যান্য দেড় লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে।

আমজাদ হোসেন জানায়, ঘটনার পর থেকে চিংড়ি ঘের লুটকারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় মামলার এজাহার দায়ের করে। দায়ের করার পরে থানা কর্তৃপক্ষের কোন ধরনের সহযোগিতা না পাওয়ায় পরবর্তীতে তিনি আদালতের শরনাপন্ন হয়।