ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়ী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মন্দিরে হামলার ঘটনায় মন্ত্রী ছায়েদুল হকের অপসারন দাবিতে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে হিন্দু ছাত্র জনতা।
শুক্রবার দুপুর থেকে শাহবাগ ঘিরে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে ছায়েদুল হকের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষরা। এসময় বিক্ষোভকারীরা মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা দাহ করেন।
দাবি মানা না হলে মঙ্গলবার সারাদেশে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে তারা। সাম্প্রদায়িক শক্তি আবারো বিশৃঙ্খলা করতে পারে এমন আশঙ্কা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, সব অপরাধী ধরা না পড়া পর্যন্ত পুলিশের অভিযান চলবে।
এতে দুপুর থেকে শাহবাগ হয়েবাংলা মোটর এলিফেন্ট রোড মৎস্য ভবন ও টিএসসি পর্যন্ত সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন বিক্ষোভকারীরা বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ছায়েদুল হক পদত্যাগ না করবেন তারা শাহবাগ ছেড়ে যাবেন না।
নাসিরনগরের হামলার ঘটনায় জড়িতদের সনাক্ত করা গেছে দাবি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জআমান খান বলেছেন: অপরাধীদের সনাক্ত করা গেছে; তবে এখনও সবাইকে গ্রেফতার করা যায়নি। সন্দেহভাজন অনেককে আটক করা হয়েছে। ফেসবুক পোস্টটি যার একাউন্ট থেকে দেয়া হয়েছিল তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞসাবাদ করেছে পুলিশ।
নাসিরনগরে মন্দিরে হামলার তিন দিন পরে নতুন করে হামলা হয় অবস্থাপন্ন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে। হামলায় কিছু বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামি করা হয় দু’ হাজার ৭ শ’ জন।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ মন্ত্রী সনাতনধর্মাবলম্বীদের গালাগাল করেছেন এবং তার প্রত্যক্ষ মদদে নাসির নগরে সংখ্যলঘুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এর আগে, সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে নাসিরনগরে হামলার ঘটনায় মন্ত্রী ছায়েদুল হকে দায়ী করে অবিলম্বে তার পদত্যাগ ও জড়িতদের শাস্তির দাবি করেছে বিএনপি।
এসময় বিএনপির পক্ষ থেকে হামলাকারীদের মোকাবেলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানানো হয়।
গত ২৮ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামের রসরাজ দাস (২৭) নামে এক যুবকের ফেসবুকে পোস্টে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে স্থানীয়রা তাকে পুলিশে সোপর্দ করে।
তবে রসরাজ এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার ফেসবুক অাইডি নকল করে অন্য কেউ এই কাজ করেছে।
রোববার এর প্রতিবাদে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত ও খাঁটি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত নামের দুটি সংগঠন সমাবেশ করে। সেই সমাবেশ চলাকালে সদরের হিন্দুপাড়াগুলোতে হামলা চালানো হয়।