চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ভোটের মাঠে ‘প্যামফ্লেট’ যুদ্ধে গম্ভীর

তিনি এখন ক্রিকেটারের ভূমিকায় নন, পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। ২০১১ সালে ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম কারিগর এবং ফাইনালের সর্বোচ্চ স্কোরার তিনি, এখন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপির) জার্সি গায়ে দিন বদলের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। সেই লক্ষ্যে ভোটের মাঠে নেমে গৌতম গম্ভীর জড়িয়ে পড়েছেন ‘প্যামফ্লেট’ যুদ্ধে।

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিম দিল্লি থেকে নরেন্দ্র মোদির দলের প্রার্থী গম্ভীর। আগামী রোববার ভোট গ্রহণের আগে তার প্রতিদ্বন্দ্বী আম আদমি পার্টির (এএপি) অতিশি মারলেনার সঙ্গে এক ‘প্যামফ্লেট’ (পুস্তিকা) যুদ্ধে জড়িয়ে গেছেন তিনি। অতিশি এবং গম্ভীর দুজনেই প্রথমবারের মতো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

ভারতের সাবেক অধিনায়কের বিরুদ্ধে ‘প্যামফ্লেট’ ছড়িয়ে অপমানজনক ও নোংরা প্রচারণার অভিযোগ তুলেছেন অতিশি। সংবাদ সম্মেলনে গম্ভীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

গম্ভীরের বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর ছুঁড়ে কড়া সমালোচনা করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। টুইট বার্তায় এএপির প্রধানের মন্তব্য, ‘গম্ভীর যে এতো নিচে নামতে পারে তা কল্পনাও করতে পারিনি।’

অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন গম্ভীর। একের পর এক টুইট করে এএপির অভিযোগের জবাব দিয়েছেন সাবেক এ ক্রিকেটার। ভিত্তিহীন অভিযোগের জন্য কেজরিওয়ালের ‘লজ্জা’ পাওয়া উচিত বলেও মন্তব্য তার। এএপি এই অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে নির্বাচন থেকেও সরে যাবেন বলে জানিয়েছেন গম্ভীর।

এএপি অভিযোগ করে বলেছে, পশ্চিম দিল্লিজুড়ে বিজেপি প্রার্থীর ছড়ানো ‘প্যামপ্লেট’টি নোংরা, ব্যক্তিগত ও যৌন আক্রমণে পরিপূর্ণ।

চোখে পানি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে অতিশি বলেন, ‘গম্ভীরের কাছে আমার একটাই প্রশ্ন, তিনি যদি একজন নারীর বিরুদ্ধে এমনটা করে থাকেন, তাহলে পশ্চিম দিল্লির লাখ লাখ নারী তাদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হবেন।’

নিজ দলের প্রার্থীর মতো টুইটে একইরকম প্রশ্ন তোলেন কেজরিওয়াল। বলেন, ‘এই ধরনের মানসিকতার লোক যদি ভোটে থাকে তাহলে নারীরা কীভাবে নিরাপত্তার আশা করতে পারে? অতিশি, শক্ত হও। বিষয়টা তোমার জন্য কত কঠিন সেটা আমি বুঝি। এটা ঠিক যে, এই ধরনের শক্তির বিরুদ্ধেই আমাদের যুদ্ধ করতে হবে।’

কেজরিওয়ালের ডেপুটি মনিশ সিসোদি বলেছেন, ‘প্যামপ্লেট’র ভাষা ‘‘এতো অবমাননাকর এবং নিচু’’ যে, যিনি পড়বেন তিনিই লজ্জা পাবেন।’

এএপির অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপি নেত্রী মমতা কালে। বলেছেন, ‘গৌতম গম্ভীরের বিরুদ্ধে এএপির আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এএপি’র মিথ্যা বলা এবং যেকোনো কিছুকে রাজনীতিকরণের ইতিহাস রয়েছে।’